শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৮৫৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

---বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সরকার দেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে তার সরকার নানান পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের পৃথক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং নিরীহ মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা আয়োজন করা। এসব সভায় নিত্যপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, চাহিদা নিরূপণ, স্থানীয় উৎপাদন, মজুত পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বাধাসমূহ দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এলসি খোলার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখা (মার্জিন) বিষয়ক বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ব্যাংক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করে। সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলায় গঠিত জেলা বা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি মাসিক সভা করে থাকে। এসব টাস্কফোর্স কমিটি জেলা ও উপজেলার বাজারসমূহে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাজারে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, মনোপলি, ওলিগোপলি অবস্থা, জোটবদ্ধতা অথবা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে মামলা দায়েরসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য (সারাদেশে পরিবারপ্রতি ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি ছোলা এবং শুধু ঢাকা মহানগরীতে অতিরিক্ত ১ কেজি খেজুর) বিক্রয় কার্যক্রমের প্রথম পর্ব পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্ব ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান ছিল।

তিনি আরও বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সুলভ মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ওএমএসের সংস্থান থাকলেও সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ৫ দশমিক ৫০ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌরসভা ও শহরাঞ্চলের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও ওএমএস কার্যক্রমকে বিস্তৃত করা হয়েছে।

‘কর্মাভাবকাল ও রমজান (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) সামনে রেখে দেশের ৫০ লাখ নিম্ন-আয়ের পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে পরিবারপ্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণপূর্বক খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এসব কার্যক্রম নেওয়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যরোধ করা সম্ভব হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছে’—যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট মন্দাভাব, মূল্যস্ফীতি ও অস্থিরতা দেখা দেয় এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা মোকাবিলা করে সরকার দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত করোনাপূর্ব উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তীব্র সংকটের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ওই সময়ে বিশ্বের মধ্যে ছিল অন্যতম সর্বোচ্চ।

এ সময়ে অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা, বিদ্যুত, জ্বালানি ও কৃষিখাতে ভর্তুকি, রপ্তানি প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, মুদ্রানীতি ইত্যাদি।

তিনি জানান, অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে ২০২০-২১ অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পায়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর