বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন (ওয়াশিংটন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: ঢাকা: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপও যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব সংলাপে এসব তুলে ধরা হয়।বৃহস্পতিবার (৪ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নবম বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব সংলাপ ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে পারস্পরিক স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর এবং পরে ওয়াশিংটন ডিসি সফর সম্পর্কে মার্কিন পক্ষকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের রূপরেখাও শেয়ার করেছেন। আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড নিজ নিজ ইন্দো-প্যাসিফিক নথিতে দুদেশের মধ্যে অভিন্নতার ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন মার্কিন পক্ষকে স্থানীয় ও জাতীয় উভয় পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
মার্কিন পক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট অঙ্গীকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের যুক্ত করার জন্য প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানবাধিকার কর্মকাণ্ডের কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি শেয়ার করেছেন। তিনি র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড বাংলাদেশ সরকারের এ বছরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা করার ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য শ্রম খাত সংস্কারের সঙ্গে অব্যাহত অগ্রগতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ক্রমবর্ধমান ও প্রাণবন্ত ব্যবসায়িক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়াতে সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সুরক্ষায় আরও কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত মানবিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন তাকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও সীমিত সংখ্যক রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন পাইলট প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন। উভয় পক্ষই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমকে আরও বাড়াতে সম্মত হন। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত বিনিময় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে। পররাষ্ট্র সচিব আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ডকে আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অংশীদারিত্ব সংলাপের দশম রাউন্ডে আমন্ত্রণ জানান।
সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস ও ইউএসএআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।