কানাডাকে-ভারতের সতর্ক বার্তা
বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ, দিল্লি থেকে: ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থিদের তাণ্ডবের পর দিল্লিতে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া বার্তা ভারতের। কানাডায় খালিস্তানপন্থিদের ভারতীয় দূতাবাস চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ ও তাণ্ডবের পর ভারত রীতিমতো কড়া অবস্থান নিল।
কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থিদের এই আচরণ ভারত মেনে নিচ্ছে না। কানাডা যেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কানাডার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কী করে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ঢুকে পড়লো?
কানাডা সরকারকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারতীয় দূতাবাসের সুরক্ষা দেয়া তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই এই ঘটনার জন্য যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারতীয় দূতাবাসের সুরক্ষা দেয়া তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারতীয় দূতাবাসের সুরক্ষা দেয়া তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কানাডা সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাহলেই একমাত্র দূতাবাসের কর্মীরা তাদের কাজ করতে পারবেন। ভারতের বাইরে কানাডাতেই সবচেয়ে বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।
এই প্রতিবাদ দেখানো হয়েছিল অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থনে এবং ভারত যাতে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়, সেই দাবি করে। অমৃতপাল সিং হলেন কট্টপন্থি শিখ নেতা, যিনি আবার খালিস্তানের দাবিতে পাঞ্জাবের গ্রামাঞ্চলে প্রচার চালাচ্ছিলেন।
তাকে ধরবার জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে পুলিশের অভিযান চলছে। কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ একশজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অনৈক্য সৃষ্টি, খুনের চেষ্টা, পুলিশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।