বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়
বিবিসি২৪নিউজ,স্পোর্টস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বয়স ১৮ বছর হলেও, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে দুইবার। দ্বিতীয়বার দেখাতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল টাইগাররা।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ১২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালোই করে টাইগাররা।
স্যাম কারানের করা প্রথম ওভারে ১০ রান তোলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। সাত বছর পর জাতীয় দলে ফেরা রনি আগ্রাসী ব্যাটিং দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন। দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের কাছ থেকে একাই ১১ রান আদায় করে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তৃতীয় ওভারে জফরা আর্চারকে ছেড়ে কথা বলেননি দুই ওপেনার।
দুটো চারসহ ১১ রান আসে সেই ওভারে। কিন্তু পরের ওভারে আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন রনি। ফ্লাইটেড ডেলিভারীতে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাই থামতে হয় ১৪ বলে ৪ চারে ২১ রান করেন।
৩৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
পঞ্চম ওভারে রনির মতোই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। আর্চারের লেংথ ডেলিভারী তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় ওকসের হাতে। ১০ বলে ২ চারে ১২ রান করেন লিটন। এরপর হাল ধরেন অভিষিক্ত তাওহীদ হৃদয় ও শান্ত।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি যোগ করেন তারা। এর মাঝে মাত্র ২৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শান্ত। একই পথে হাটছিলেন হৃদয়ও। কিন্তু মঈন আলীর বলে কারানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। যার ফলে ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রানে থামতে হয় তাকে।
ফিফটির ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। মার্ক উডের বলে বোল্ড হয় ফেরেন তিনি। তবে ততক্ষণে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বাকিটা পথ আফিফ হোসেনকে নিয়ে নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন সাকিব। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুজনে মিলে। সাকিব ২৪ বলে ৬ চারে ৩৪ ও ১৩ বলে ২ চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আর্চার, উড, রশিদ ও মঈন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংলিশরা। ফিল সল্টকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ওভারে ৮০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক জস বাটলার।
এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড হারায় ২ উইকেট। ফিল সল্টকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান, সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ইংলিশ ওপেনার। তবে আল্ট্রা-এজ নিশ্চিত করেছে, ব্যাটের নিচের দিকে লেগেছে বল।
নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে ৩৫ বলে ৩৮ রানে ফেরেন ফিল সল্ট। এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডেভিড মালান (৪)।
সাকিবের করা বলটি সামনে এসে খেলেন মালান। লং অনে ফিল্ডিং করা নাজমুল হোসেন শান্ত কোনো ভুল করেননি। তার ক্যাচে পরিণত হয়ে দলীয় ৮৮ রানে মালান ফেরেন সাজঘরে।
১৫.৬ ওভারে দলীয় ১৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের করা বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বেন ডাকেট। ১৩ বলে ২০ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ইংল্যান্ড হারায় তৃতীয় উইকেট।
১৯ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু ফিল্ডার সাাকিব রাখতে পারেননি বাটলারের ক্যাচটি। সাকিবের হাত ফসকে বলটি মাটিতে পড়ে যায়।
নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাকিবের কল্যাণে নতুন জীবন পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬.১ ওভারে দলীয় ১৩৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ৪২ বলে চার বাউন্ডারি আর চারটি ছক্কার সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান।
হাসান মাহমুদের বলে লং অনের পরও দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেখানে ফির্ল্ডিং করা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পরেন তিনি।
১৮.৫ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন স্যাম কারেন। ১৪৬ রানে ইংল্যান্ড হারায় পঞ্চম উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান ২৬ রান দিয়ে দুটি এবং সাকিব, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম নেন একটি করে উইকেট।