মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায়
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায়
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। মঙ্গলবার একই দিনে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা (আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদার) ডেরেক শোলেও।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পৃথকভাবে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অতিথিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। প্রভাবশালী দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই অতিথি বুধবার পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। এতে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এবারের আলোচনায় পানি, বাণিজ্য, সীমান্ত পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, লাইন অব ক্রেডিটসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও কথা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতাও চাইবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা জি-২০ এর বর্তমান সভাপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা পোঁছে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুঠিত হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এতে নরেন্দ্র মোদি অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকায় এটিই বিনয় মোহন কোয়াত্রার প্রথম বাংলাদেশ সফর। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকসহ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা হবে।
অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তা ডেরেক শোলের এই সফরে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মানবিক সহায়তা প্রাধান্য পাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ডেরেক শোলে এই সফরে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস), দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সরকার র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ও আলোচনায় স্থান পাবে।