মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের বিরাট অবদান রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের বিরাট অবদান রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিকূলতার মধ্যেও পোশাকখাতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২ উদযাপন এবং ছয় জেলার ছয়টি টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কর্মস্থান তৈরিতে বস্ত্র ও পোশাকখাত ভূমিকা রাখছে। প্রতিকূলতার মধ্যেও পোশাকখাতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁতশিল্পের ঐহিত্য ধরে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের বিরাট অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি এবং আমাদের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। বিশেষ করে মেয়েদের কর্মসংস্থানে নতুন দ্বার উন্মোচন করে এই পোশাক শিল্প।’
‘পোশাক খাতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নারীরা এসে কাজ করে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তারা বিশেষ অবদান রাখছে। একেকটি পরিবারও আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করছে। কাজেই আমাদের এই শিল্পটির ওপর নজর দেওয়া দরকার’ যোগ করেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে বৈদেশিক মুদ্রা আমরা অর্জন করি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়। কাজেই সেদিক দিয়ে আমি বলব যে এটি আমাদের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছিল। আমরা এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি সেগুলো আবার নতুনভাবে শুরু করতে। সরকারের উদ্যোগের কারণে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য মসলিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন গবেষণার মাধ্যমে এটিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘গার্মেন্টসে যারা কাজ করেন তাদের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে, নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ব্যবহার করা হয়। নতুন ওই বাজার আমরা খুঁজে বের করতে পারি। ইতোমধ্যে কিছু পাওয়া গেছে।’