রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » জামাতাকে ফাঁসাতে মেয়েকে খুন করেন বাবা: পিবিআই
জামাতাকে ফাঁসাতে মেয়েকে খুন করেন বাবা: পিবিআই
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ ভালোবেসে নাসির উদ্দিন বাবুকে বিয়ে করেন পারুল আক্তার। তবে এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি পারুলের বাবা কুদ্দুস খা। এজন্য মেয়ে জামাতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেন। সবশেষ মেয়েকে খুন করে জামাতাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরিকল্পনা ছিল কুদ্দুসের। তবে তার সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে। কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে জানান, পারুল হত্যায় তার স্বামী সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়। তবে তার বাবার পরিকল্পনা থেমে থাকেনি। তিনি ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজিও দেন। ঘটনার শুরু ২০১২ সালে। সে বছর কুদ্দুস খার মেয়ে পারুল আক্তার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর একই এলাকার নাছির উদ্দিনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। একসময় এ দম্পতি আশুলিয়ার জামগড়ায় বসবাস শুরু করলেও কিছুদিনের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। সুযোগ নেন মেয়ের বাবা কুদ্দুস। ভাল ছেলে দেখে অন্য জায়গার বিয়ের লোভ দেখিয়ে মেয়েকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যান। এর মধ্যেই খুন হন পারুল।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর কুদ্দুস খা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তভার আসে পিবিআইতে। তদন্তের এক পর্যায়ে জট খুলে। ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকায় নদীর পাশে রাতের অন্ধকারে বাবাই তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় মেয়ের হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর মেয়েকে হত্যার করা কথা স্বীকার করেন কুদ্দুস। হত্যায় তাকে সহযোগিতা করেন বন্ধু মোকা মণ্ডল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পিবিআই প্রধান বলেন, মামলা দীর্ঘদিন ধরে চালানোর জন্য কুদ্দুস জমি বিক্রি করেন। তবে মেয়েকে হত্যা করেও তিনি অনুতপ্ত নন। তার ভাষায় এ ঘটনার জন্য দায়ী পারুল ও নাসির। সুতরাং নাসিরকে যদি ফাঁসিতে ঝোলানো না যায়, তবে তো আমার মনে শান্তি হবে না। তাই মামলা করে যাচ্ছিলাম বলে কুদ্দুস গ্রেপ্তারের পর জানিয়েছে। পারুল হত্যায় তার স্বামী নাসিরের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় রিপোর্ট দেয় চারটি সংস্থা। কিন্তু ৪ বারই নিজেকে বাঁচাতে কুদ্দুস আদালতে নারাজি দেন। সবশেষ আদালত জুডিশিয়াল তদন্ত করে রিপোর্ট দেন।