শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা, দেশ থেকে পাচার হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থ
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা, দেশ থেকে পাচার হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থ
৪৬৪ বার পঠিত
সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা, দেশ থেকে পাচার হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থ

---বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে। সাধারণত দুইভাবে সম্পদ পাচার হয়। এগুলো হচ্ছে-আন্ডার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম কম দেখিয়ে) এবং ওভার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে)। এতে একদিকে দেশের টাকা বিদেশে চলে গেছে। অন্যদিকে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে চার ভাগের এক ভাগ দামে এলসি খুলেছেন অনেক গ্রাহক। এই কাজটা করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য। তবে বাকি তিন ভাগ অর্থ নিশ্চয়ই হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে। ইতোমধ্যেই অনেকাংশে এই কাজগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমানতের সর্বনিু সুদহার পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলো। এছাড়া নতুন মুদ্রানীতিতে ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়ানোরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভোক্তাঋণের ক্ষেত্রে সুদহার ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। বর্তমানে ব্যাংকের সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখা হয়েছে। এখন সেখানে ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়াতে পারবে। তবে শিল্পঋণসহ অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অন্যান্য ঋণের বেঁধে দেওয়া সুদহার তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকবে।

নতুন মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানতের সুদহার উন্মুক্ত করে দেওয়া ও ঋণ সুদহারে কিছুটা শিথিল করায় তা আমানতের সুদহার বাড়াতে সহায়তা করবে।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে আমানতের সর্বনিু সুদহার বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, তিন মাস ও তার বেশি মেয়াদি আমানতের সুদ কোনোভাবেই তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতির কম হতে পারবে না। ২০২০ সালের এপ্রিলে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আমানতের সুদহার আড়াই শতাংশেও নামিয়ে এনেছিল।

বর্তমানে দেশে মূল্যস্ফীতি যেখানে উঠেছে, তাতে ব্যাংকগুলোকে আমানতের সুদহারও বাড়াতে হয়। কিন্তু ঋণের সুদ নির্দিষ্ট থাকায় ঋণ ও আমানতের সুদের মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে ব্যাংকগুলোকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকগুলো ঋণ ও আমানতের সুদহার তুলে নেওয়ার দাবি করে আসছিল।

নতুন মুদ্রানীতিতে ঋণে সুদহারের ৯ শতাংশ সীমা অপরিবর্তিত রেখে নীতি সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে পুনঃক্রয় চুক্তি বা রেপোর বিপরীতে ৬ শতাংশ সুদে ধার নিতে হবে, যা এতদিন ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একইভাবে বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তি বা রিভার্স রেপোর সুদহার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর ধারের সুদহার বাড়বে। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের মুদ্রানীতিকে সতর্কমূলক বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের মতোই ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর মুদ্রা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশে নামানো হয়েছে। তবে বাজেটের বিশাল ঘাটতির অর্থায়নে সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমায়নি, বরং বাড়িয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে এ লক্ষ্য ঠিক করে ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।

মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাবাজার ও সুদহারের নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য নিয়ে মুদ্রানীতি করা হয়েছে। আগামীতে খেলাপি ঋণ কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু উপকরণ ব্যবহার ছাড়া তেমন কোনো করণীয় নেই। যে কয়েকটি উপকরণ রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান হলো-টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা। সেটি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ডলার মার্কেট নিয়ে গভর্নর বলেন, ডলার সংকট প্রবল হয়ে উঠেছিল কয়েক মাস আগে। তাই প্রথম টার্গেট ছিল আমদানি কমানো। আমদানি যাতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের সমান হয়। এ টার্গেট পূরণে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর মধ্যে ওভার ইনভেয়েসিং ও আন্ডার ইনভেয়েসিং হয়েছে কিনা সেটা দেখেছি। এসব কাজ করে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হয়। ফলে আমদানি কমে এসেছে। এখন দেখা যাচ্ছে আমদানির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। ফলে ডলারের যে চাপ ছিল সেটা অনেকটা কমে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, আমদানির এলসি খোলা কমানোর প্রভাব রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর পড়বে না। সেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, কোনো ব্যাংক সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করে। তিনি উদহারণ দিয়ে বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকে মানুষের আমানত রয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটির ১ কোটি ৯০ লাখ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এখানে শেয়ারহোল্ডারের চেয়ে বেশি টাকা রয়েছে সাধারণ মানুষের। ব্যাংক সমস্যায় পড়লে এসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের চিন্তা করেই এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটিকে যেভাবে টাকা দেওয়া হয়, তাতে কোনো ঝুঁকি নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের ইতিহাসে একটি ব্যাংকও বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতেও বন্ধ হবে না। কারণ কোনো ব্যাংক সমস্যায় পড়লে তা সমাধানে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বাত্মক সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো প্রভাবশালীর গোষ্ঠীর চাপে রয়েছে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো চাপে নেই। এটা প্রথম দিনেই বলেছি। এর চেয়ে বড় চাপের জায়গায় থেকে কাজ করে এসেছি। সুতরাং কোনো চাপই এখন চাপ মনে হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে। নিয়মের বাইরে কাউকে সুবিধা দেওয়া হয় না। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবাইকে গ্রাহক হিসাবে দেখে। এটা প্রত্যেকটা ব্যাংককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর ডলারের অনিয়মের বিষয়ে গভর্নর বলেন, ডলারে কেনাবেচায় অনৈতিকভাবে ১২টি ব্যাংক ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর