মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিক্ষাঙ্গন | শিরোনাম » পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে- প্রধানমন্ত্রী
পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে- প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে দাবি করে জনগণের মনে পুলিশের প্রতি যেই আস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আশি করি তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার কারণে গত দুই বছর তিনি সশরীরে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’। পুলিশ সপ্তাহের কর্মসূচি চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী জনগণের পুলিশ হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের আস্থা অর্জন করা যে কোনো বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা সেই আস্থা অর্জন করেছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা জনগণের সেবা করে যাবেন।
তিনি বলেন, শান্তি রক্ষায় পুলিশ বাহিনী, বিশেষ করে নারী পুলিশ প্রশংসা পাচ্ছে। এজন্য জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশের পুলিশও হবে স্মার্ট ও আধুনিক। এরই মধ্যে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। সামনে সেবা আরও সহজ ও স্মার্ট হবে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখনই দেশ একটু ভালোর দিকে যায়, তখনই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এটি কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশের বিভিন্ন দল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
পরে তিনি ১১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) সাহসিকতা, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসিকতা, বিপিএম সেবা এবং পিপিএম সেবা প্রদান করেন।
তাদের মধ্যে ১৫ জন বিপিএম সাহসিকতা এবং ২৫ জন পিপিএম সাহসিকতা, ২৫ জন বিপিএম সেবা এবং ৫০ জন পিপিএম সেবা লাভ করেন।