মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » আফ্রিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » আফ্রিকায় বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত
আফ্রিকায় বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্বপ্রতিবেদন : সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তিন শান্তিরক্ষী নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।সেন্ট্রাল আফ্রিকায় বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত সৈনিক জসিম উদ্দিন, সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম, সৈনিক শরিফ হোসেন
আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার সময় সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে স্থানীয় সময় ০৩ অক্টোবর (সোমবার) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় ০৪ অক্টোবর ০১৩৫ ঘণ্টা) বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের একটি গাড়ি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণের মুখে পড়ে।
এতে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং একজন আহত হন।
নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- সৈনিক জসিম উদ্দিন (বয়স ৩১, গ্রাম: কাটিঙ্গা, থানা: বিজয়নগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া), সৈনিক জাহাংগীর আলম (বয়স ২৬, গ্রাম: দক্ষিণ টিট পাড়া, থানা: ডিমলা, জেলা: নিলফামারী) এবং সৈনিক শরিফ হোসেন (বয়স ২৬, গ্রাম: বাড়াক রুয়া, থানা: বেলকুচি, জেলা: সিরাজগঞ্জ)।
এতে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফুল হক আহত হন।
আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের পশ্চিম সেক্টরে বোয়ার এলাকায় মোতায়েন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন (ব্যানব্যাট-৮) ২০২১ সালের ০৯ নভেম্বর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।
দুর্গম এলাকায় মোতায়েন অন্যতম অস্থায়ী ক্যাম্প কুই হতে পরিচালিত যান্ত্রিক টহলের একটি দল মেজর আশরাফের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কাইতা এলাকায় টহলে যায়। বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ফেরার পথে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফকে বহনকারী প্রথম গাড়িটি মাটিতে পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে পতিত হয়। এতে গাড়িটি প্রায় ১৫ ফুট দূরত্বে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সৈনিক শরিফ, সৈনিক জাহাংগীর ও সৈনিক জসিম মারাত্মকভাবে আহত হন।
জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪৪ কিলোমিটার দূরে দূরে বোয়ারে মিনুসকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আহত শান্তিরক্ষী মেজর মো. আশরাফুল হক চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত অন্যান্য শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন। শাহাদাৎবরণকারী সেনাসদস্যদের মৃতদেহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।