রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি
দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি
বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদন ঢাকা : নিরাপদ ও বাসযোগ্য একটি দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন,
‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে সোমবার (৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ পালন হবে।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্র্রপতি বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে সরকার ঢাকা মহানগরীর জন্য ভবিষ্যৎ মহাপরিকল্পনা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ২০২২-৩৫ প্রণয়ন করেছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনার পাশাপাশি উপজেলাভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬ এবং ১৮(ক) এর আলোকে নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। জাতির পিতার বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ সরকারের এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সংশিষ্ট সবাই নিরলস প্রচেষ্টা চালাবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি’। কোভিড-১৯ মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতময় বিশ্ব - এ ত্রয়ী চ্যালেঞ্জের বিরূপ প্রভাব এবং দ্রুত নগরায়নের ফলে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে বিরাজমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কথা বলতেন। তাঁর (বঙ্গবন্ধু) সেই স্বপ্নের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের গ্রাম ও শহরগুলো উন্নয়নের ধারায় পরিবর্তিত হচ্ছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা দক্ষিণ এশিয়াসহ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংঘাতময় বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি, যার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী নিম্নআয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকার দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করছে, যা গোটা বিশ্বে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ধারণার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে।রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।