রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া :যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ এসব আবেদনপত্রের এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রিনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ (আবেদনকারী) মারা যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। সাম্প্রতি লসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে নতুন গ্রিনকার্ডের জন্য পাহাড় সমান আবেদনপত্র জমা পড়ে আছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রিনকার্ডের জন্য৮৬ লাখ বা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এসব আবেদনপত্রের এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রিনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। সম্প্রতিলসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।গত ৩০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা, গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্বের আবেদন বেড়েচলেছে। কিন্তু সে তুলনায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজের গতি ও জনবল বাড়েনি।এছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক্যানদের ক্ষমতার মহড়ায় এ বিভাগের কাজকর্মকয়েক বছর পরপরই ঝুলে পড়ে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিরোধীডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে। কোভিড-১৯ ইমিগ্রেশনে জ্যাম আরও বাড়িয়েদিয়েছে। বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার বাণী শোনালেও কাজের গতি বাড়েনি।
আত্মীয়স্বজনের জন্য কেউ ইমিগ্রেশন বা গ্রিনকার্ডের আবেদন করলে তা হাতেআসতে ২০ বছরও লেগে যায়। অপেক্ষায় থাকাবস্থায় অনেকেই মারা যান। স্বপ্নেরআমেরিকা দেখার সুযোগ তাদেও আর হয় না। লসএঞ্জেলস টাইমসের জরিপে উঠেএসেছে ১৬ লাখ আবেদনকারী আগামী কয়েক বছরে মারা যাবে গ্রিনকার্ড হাতে পাবারআগেই।
ইমিগ্রেশনে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দুরবস্থা ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশিহতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে ভাইবোনদের জন্যআবেদনের অপেক্ষাকাল ১২-১৩ বছর দেখালেও লেগে যাচ্ছে ১৫-১৬ বছর। বিবাহিতসন্তানের জন্য আবেদন করে ১৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার দৃষ্টান্তও তৈরিহয়েছে। অনেকের সবকিছু রেডি থাকলেও ভিসার জন্য ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময়নেওয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউয়ের তারিখ বারবার পরিবর্তন করে বছরেরও বেশি সময় পারকরে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।