বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঈদযাত্রা ঢাকা ছাড়ছে বেশিরভাগ মানুষ
ঈদযাত্রা ঢাকা ছাড়ছে বেশিরভাগ মানুষ
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য সড়ক পথে নানা ভোগান্তির কারণে মানুষ বেশি পছন্দ করে রেলপথ। সে কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টার লাইনে দাঁড়িয়েও মানুষ ট্রেনের টিকিট পেতে চায়। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিটের জন্য রাজধানীর কমলাপুরে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল গত ৩ জুলাই। সেদিন দেওয়া হয়েছিল ৭ জুলাইয়ের ট্রেনের আগাম টিকিট।
অপরদিকে, বিভিন্ন জেলার বাস কাউন্টারগুলোতেও আজকের দিনের টিকিট নিয়েছে সবচেয়ে বেশি মানুষ। অনলাইনেও আজ ৭ জুলাইয়ের বাস এবং ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ঈদের আগের শেষ কর্মদিবস। ৮ জুলাই (শুক্রবার) চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আর ঈদুল আজহার ছুটি হচ্ছে, ৯, ১০ ও ১১ জুলাই। ঈদুল আজহার ছুটি। ফলে বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে বা ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে মানুষ ছুটছে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে।
সংবাদকর্মী মামুন আজ অফিস করে রাজশাহীগামী পদ্মা ট্রেনে আজ রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ঢাকা ছাড়বেন। তিনি জানান, আজকের দিনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য ২ জুলাই রাত ১১টায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টিকিট হাতে পেয়েছিলেন তিনি। সেই টিকিট দিয়েই আজ রাতে বাড়ি যাবেন। সেদিনের ১০-১১ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট ভুলে গেছেন টিকিট পাওয়ার কারণে।বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুর রহমান যাবেন রংপুর। তিনি জানান, পরিবারের বাা-মা-ভাই-বোনের সঙ্গে ঈদ করতে প্রতি ঈদেই বাড়ি যাই। এজন্য অনেক ভোগান্তি-বিড়ম্বনা হয়, তারপরও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করা নিয়ে কথা। অনেক ভোগান্তি হয়েছিল টিকিট পেতে, সেই টিকিটে আজ বাড়ি ফেরার দিন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী দেশ ট্র্যাভেলসের টিকিট আরামবাগ থেকে আগেই নিয়েছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুয়েল আহমেদ। স্ত্রী-সন্তানসহ আজ দুপুরের বাসে বাড়ি ফিরবেন তিনি। তিনি জানান, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল ৭ জুলাইয়ের টিকিটের। আমাদের মতো চাকরিজীবীদের বছরে খুব কমই বাড়ি যাওয়া হয়। ঈদের সময় সবাই বাড়িতে একসঙ্গে মিলে ঈদ করি। বাবা-মা এখনও বেঁচে আছেন বলেই হয়তো বাড়ি যাওয়ার টানটা বেশি।
বিআরটিসি কমলাপুর কাউন্টারে কথা হয় কাউন্টারের দায়িত্বে থাকে রফিক আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের অগ্রিম টিকিট ছাড়ার পর থেকেই ৭ জুলাই দুপুর-বিকেল ও রাতের বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। আজকের দিনের সবচেয়ে বেশি বাসের টিকিট বিক্রি হয়েছে। এমন কী যাত্রী চাহিদার কারণে আজকে কয়েকটি রুটে অতিরিক্ত বাসও দিতে হয়েছে বলে জানান রফিক।
গ্রিণলাইন বাস কাউন্টারে কথা হয় খুলনার যাত্রী আমেনা রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, ট্রেনর টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করেও পাননি। অগত্যা বাসের টিকিট নিয়েছেন। আজ দুপুরে তার বাস ছাড়বে। একটু আগেই চলে এসেছেন কাউন্টারে। বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন, এই আনন্দের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাসে যেতে পারবেন, সে কারণেও তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত বলে জানান।
কমলাপুর, ফকিরেরপুল, আরামবাগ, মালিবাগ, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দিনে এবং রাতে মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। সোহাগ পরিবহনের মালিবাগ কাউন্টারের ফয়সাল জানান, বৃহস্পতিবারের (৭ জুলাই) টিকিট যেমন সশরীরে কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়েছে, তেমনি অনলাইন থেকেও সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। টিকিট কিনতে যারাই এসেছেন, সবাই ৭ তারিখের টিকিট খুঁজেছেন। যাত্রী চাহিদার কারণে ২-৩টি রুটে আমরা অতিরিক্ত বাস দিয়েছি।