শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে কি বলছে, জাইকা- বিশ্বব্যাংক
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে কি বলছে, জাইকা- বিশ্বব্যাংক
বিবিসি২৪নিউজ,ড.আরিফুর রহমান,ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সংস্থাটির ঢাকা অফিসের প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
শনিবার দেশের বৃহত্তম যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হল স্বপ্নের সেতুর স্বপ্নযাত্রা। খুলল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের দুয়ার।
বেলা ১২টায় প্রমত্তা পদ্মার বুকে বাঙালির গর্ব ও অহঙ্কারের প্রতীক, বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সেতুর উদ্বোধন করতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে বেলা পৌনে ১১টায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। ভাষণের পর তিনি সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন।
পরে সেতুর উদ্বোধন চত্বরের দিকে যাত্রা করেন। এ সময় টোলপ্লাজায় তিনি নিজের গাড়ির টোল পরিশোধ করেন। পরে সেতুর উদ্বোধন মঞ্চে পৌঁছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করেন। দোয়া শেষে সেতুর উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।
এর মাধ্যমে খুলে গেল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার দুয়ার। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বিশ্বব্যাংক খুশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিয়োজিত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন। তিনি বলেন, ‘সেতুটি সম্পূর্ণ হওয়ায় আমরা খুশি। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে যাচ্ছে বলে আমরা আনন্দিত।’আজ শনিবার সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
টেম্বন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। আমরা এই সেতুর গুরুত্ব স্বীকার করি। সেতুটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ভ্রমণ সময় কমিয়ে বাংলাদেশের জনগণের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা বয়ে আনবে।’
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘সেতুটি বাজার সম্প্রসারণ ও দারিদ্র্য হ্রাস করে দেশের মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে আমরা এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে আছি।’
২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য তাদের ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ বাতিল করে দাবি করে, এতে বাংলাদেশি কর্মকর্তা, কানাডিয়ান ফার্মের নির্বাহী এবং অন্যান্য ব্যক্তির দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ রয়েছে। পরে কানাডার একটি আদালত এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাননি।