আবারও বাড়ল ডলারের দাম
বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে বাজারের উপর ডলারের দর নির্ধারণের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার পর টাকা আরও সস্তা হয়েছে; সবশেষ প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা।
এ নিয়ে ডলারের দর বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পর তিন দফায় ডলারের দাম বাড়ল। আর মে মাসে চার দফা কমেছিল টাকার মান।
সোমবার ব্যাংকগুলোর চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
এর অর্থ সবশেষ দফায় টাকা আরও সস্তা হয়েছে ৪৫ পয়সা।
এর আগে ডলারের দর বেঁধে দেওয়ার নিয়ম তুলে দেওয়ার দিন বৃহস্পতিবার দুই দফায় আগের দিনের চেয়ে বেশি দরে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ওই দিন দু’বার টাকার মান কমে যায়।
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ব্যাংকগুলোর কাছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা দরে বিক্রি করা হয় সাড়ে ১৩ কোটি ডলার।
মুখপাত্র সিরাজুল জানান, ওইদিন দ্বিতীয় দফায় জরুরি চাহিদা মেটাতে আরও ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় ৯১ টাকা ৫০ পয়সায়।
এতে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার দিনই টাকার মান কমে আড়াই টাকা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একদিনে টাকা এতটা দর হারায়নি। এর আগে দর কমেছিল একদিনে সর্বোচ্চ ১টাকা ১০ পয়সা।
গত বুধবার সাম্প্রতিক সময়ে চাহিদা সংকটে অস্থির হয়ে ওঠা ডলারের বাজারে প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণের অনুসরণ করে আসা ‘ম্যানেজড এক্সচেঞ্জ রেট’ তুলে নেওয়ার কথা ব্যাংকগুলোকে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।আমদানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা বাড়ছে গত কয়েক মাস ধরে। রপ্তানি ও রেমিটেন্স থেকে আমদানি খরচ মেটানোর মত ডলার মিলছে না। এ কারণে ডলারের সরবরাহে টান পড়েছে, যা প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে চড়া করে তোলে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে ডলারের বিনময় হার বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। তবে নিজেদের মধ্যে ডলার লেনদেনে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রির দরকে ‘অনুসরণ’ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল বলেন, “বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। সোমবার ব্যাংকগুলোকে সাপোর্ট দিতে এক কোটি ডলার বিক্রি করেছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, “ওপেন মার্কেট অনুযায়ী ডলারের দাম ঠিক হবে। এটি না করলে রেমিট্যান্স কমে যাবে বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন। তবে বাজারের উপর ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা মনিটরিং করবে।”