বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে এলোপাতাড়ি গুলি করে ১০ জনকে হত্যা, হামলাকারী গ্রেফতার
যুক্তরাষ্ট্রে এলোপাতাড়ি গুলি করে ১০ জনকে হত্যা, হামলাকারী গ্রেফতার
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ. যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে মুদি দোকানে (গ্রোসারি শপ) বন্দুক হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে বিচারকের কাছে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। নিউইয়র্কের কনক্লিনের ১৮ বছর বয়সী পেটন গেন্ড্রন নামের শ্বেতাঙ্গ যুবক স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সাদা কাগজের গাউন এবং মুখোশ পরে টপস্ নামের একটি মুদি দোকানে (গ্রোসারি) ঢুকে এলোপাতাড়ি বন্দুক হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে।ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার সন্ধ্যায় বাফেলো সিটি কোর্টে নেওয়া হলে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে রাখেন। গেন্ড্রন নিষ্ঠুর ছিলেন জানার পরও কারণ তার আদালতে নিযুক্ত আইনজীবী তার পক্ষে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে নির্দোষ দাবি করেন। তাকে জামিন ছাড়াই রিমান্ডে নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পেটন অসুস্থ। বন্দুক হামলা চালানোর জন্য বিংহামটনে তার বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মাইল গাড়ি চালিয়েছিলেন এবং ভারি অস্ত্রে সজ্জিত এবং কৌশলগত গিয়ার পরেছিলেন।এরি কাউন্টি শেরিফ জন গার্সিয়া একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুপার মার্কেট পার্কিং লটে শুটিং শুরু হয় এবং বাফেলো পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার আগে স্টোরে চলতে থাকে। এটা ছিল খুবই খারাপ পরিস্থিতি। এটি ছিল আমাদের সম্প্রদায়ের ভালো প্রতিবেশীদের শহরের বাইরের কারো কাছ থেকে সরাসরি জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত ঘৃণামূলক অপরাধ। আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এসে আমাদের ওপর সেই মন্দ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।বিশেষ এজেন্ট স্টিফেন বেলঙ্গিয়া বলেন, এফবিআই ঘটনাটিকে একটি ঘৃণামূলক অপরাধ এবং জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার মামলা হিসেবে তদন্ত করছে।বাফেলো পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বাফেলোর ইস্টসাইডে জেফারসন অ্যাভিনিউতে টপস মার্কেটে জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত পেটন গেন্ড্রন এলোপাতাড়ি বন্দুক হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেন।প্রথমে পার্কিং লটে থাকা চারজনের ওপর গুলি চালায়। তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এরপর সে টপস্ সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে। সেখানে সিকিউরিট গার্ডের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। সিকিউরিটি গার্ডকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারী। এরপর শপিং করতে থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালাতে থাকে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সে নিজের গলায় বন্দুক ধরে আত্মহত্যার ভঙ্গি করে। পুলিশ তাকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।