বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | তথ্যপ্রযুক্তি | মিডিয়া ওয়াশ » গণমাধ্যমকর্মী আইন সংশোধন করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকর্মী আইন সংশোধন করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতি বেদক ঢাকাঃ গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন এখনো আইনে রূপান্তর হয়নি। এটি সংসদীয় কমিটিতে গেছে, সেটার পরিবর্তন-পরিমার্জন, এমনকি ফেরত পাঠানো— সবটাই করতে পারে। সেই ক্ষমতা সংসদীয় কমিটির আছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আমি বসেছি। যারা প্রথম খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গেও বসেছি। দীর্ঘ দিন আলোচনা করেই তো ফার্স্ট ড্রাফট তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়েও কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি নিজেই লক্ষ করেছি কিছু অসঙ্গতি আছে। সেগুলো পরিবর্তন-পরিমার্জন করে সবার জন্য, সাংবাদিকদের জন্য যেন কল্যাণকর আইন হয় সেটা করা হবে। গণমাধ্যমকর্মী আইনে টেলিভিশন-অনলাইন সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সবাই অসঙ্গতি নিয়ে বলছে; যেগুলো ভালো দিক সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছে না। যেহেতু এখনো আইনে রূপান্তরিত হয়নি আর আমরা নিজেরাই যেহেতু বলেছি আমরা এটাকে পরিবর্তন-পরিমার্জন করার লক্ষে কাজ করছি। সেটা নিয়ে যদি বেশি বক্তৃতা-বিবৃতি হয় তাহলে যে পরিবেশ আছে সেই পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বসেছি, আলোচনা করছি, এই আইনটা সংশোধন হবে এবং সাংবাদিকদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে, ড্রাফট চাওয়া হয়েছে। তারা সেটি দেবেন। তারপর সংসদীয় কমিটিতে জমা দেওয়া হবে। সংসদীয় কমিটি সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি সেখানেই সব কিছু সম্পন্ন করা যায় করবে। আর যদি সেটা না করা যায়, প্রয়োজনে সংসদীয় কমিটি আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিতে পারে।
মতবিনিময় সভায় ডিআরইউ’র দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সাংবাদিকতার উৎকর্ষের জন্য প্রতি বছর জাতীয় বাজেটে ডিআরইউর জন্য তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ; প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন- ২০২২ সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা বান্ধব করা; গণতন্ত্র বিকাশে সহায়তা ও পেশাগত ঝুঁকি কমাতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রবর্তন; সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ডিআরইউর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু ও পাকিস্তানের পক্ষের দল এবং জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘যে দলের জন্ম অগণতান্ত্রিকভাবে, সেই দলের নেতা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে। সুতরাং তাদের গণতন্ত্রের কথা বলার অধিকার কতটুকু আছে সেটিই প্রশ্ন।’ যাদের জন্মটা অগণতান্ত্রিকভাবে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনীতির কাকদের সমন্বয় ঘটিয়ে যে দলের জন্ম; সেই দলের নেতা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে মানুষ হাসে- বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে ১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল যে সরকার গঠিত হয়েছিলো, জিয়াউর রহমান সেই সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের চাকুরে ছিলেন এবং নিয়মিত বেতন গ্রহণ করেছেন।
‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান পাঠ করেছেন, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক নন’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। ২৬ মার্চ প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। স্কুলের দপ্তরিকে যারা হেডমাস্টার বানাতে চায় তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। দপ্তরি ঘণ্টা বাজায় কিন্তু স্কুল কখন ছুটি হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে হেডমাস্টার। সুতরাং দপ্তরিকে হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’
ঈদের পর বিএনপি অন্যান্য দলকে নিয়ে আন্দোলনে নামবে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাদের আন্দোলন কোন ঈদের পরে? আমরা গত ১২-১৩ বছর ধরে ঈদের পরে, রোজার পরে, বার্ষিক পরীক্ষার পরে, শীতের পরে, বর্ষার পরে তাদের আন্দোলন হবে এরকম শুনে আসছি। তাই কোন ঈদের পরে সেটি একটু খোলাসা করলে ভালো হয়।