বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণে মধ্যরাতেও চলছে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণে মধ্যরাতেও চলছে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
বিবিসি২৪নিউজ,আশরাফ আলী, বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণ বাজার নিয়ন্ত্রণে মধ্যরাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় এই অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযানে আরও অংশ নিয়েছেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাশ, সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাত ১২টার দিকে প্রথমে অভিযান চালানো হয় বেগুন, তরমুজ ও লেবুর ট্রাকে। ট্রাকের চালকদের সঙ্গে কথা বলে ভোক্তা অধিদপ্তর জানতে পেরেছে কৃষকের কাছ থেকে প্রতি বস্তা লেবু কেনা পড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় লেবু থাকে ৭০০ থেকে ৮০০ পিস। প্রতি বস্তায় ভাড়াবাবদ খরচ হয় প্রায় ৩০০ টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কৃষক থেকে গড়ে প্রতি পিছ লেবু কেনায় খরচ হয় সাড়ে তিন থেকে চার টাকা। এরপর পাইকারি আর খুচরা এই দুটি হাত বদলেই প্রতি পিছ লেবুর দাম উঠে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এরপর রাত সাড়ে ১২টার সময় অভিযান চালানো হয় বেগুনের আড়তে। পাইকাররা প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। রাত দেড়টায় অভিযান চালানো হয় তরমুজের আড়তে। মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের পাইকাররা কৃষকের কাছ থেকে ৯ থেকে ১০ কেজি ওজনের একশ পিস তরমুজ কিনছেন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায়। সেই তরমুজ তারা পাইকারিতে বিক্রি করছেন ৩৫ হাজার টাকা দরে। পাইকারদের ভাষ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়বে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
তবে লেবু, বেগুন ও তরমুজের পাইকাররা মৌখিকভাবে পাইকারি দাম বললেও কেউই পণ্য কেনার কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার কারণে মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের দুইজন পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এভাবে লেবু ও বেগুনের কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
অভিযানের সময় মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, লেবুর দাম পাইকারি পর্যায়ে কম। কিন্তু খুচরা বেশি দরে বিক্রি হয়। পাইকারি পর্যায়েই তরমুজ আর বেগুনের অস্বাভাবিক দাম দেখা গেছে। তবে কৃষক প্রকৃতপক্ষে কত দর পায় তা খোঁজ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অভিযান প্রতিদিন চলবে। যাত্রাবাড়ী, মিরপুর আড়তসহ জেলা পর্যায়ের আড়তগুলোতেও অভিযান করা হবে। কেউ অযৌক্তিক দাম নিলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি হয় বলে যেসব অভিযোগ করে আসছে তার বাস্তব কোনো প্রমাণ ব্যবসায়ীরা দেখাতে পারেনি বলে জানান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।