সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে ইমরানের ভাগ্য
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে ইমরানের ভাগ্য
বিবিসি২৪নিউজ,এশিয়া ডেস্কঃ পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে বিরোধীদলগুলো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য এখন ঝুলছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর।
রোববার নাটকীয় পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। তবে এত সহজে হার মানতে নারাজ বিরোধীরাও। রোববারেই তারা সুপ্রিম কোর্টে গেছে। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে সব আবেদনকারীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের পদক্ষেপ সাংবিধানিক কিনা সে প্রশ্নে যেসব পিটিশন দাখিল হয়েছে, তার শুনানি মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থগিত করেছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবারেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারে বলে প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু পরে তা মঙ্গলবার পর্যন্ত পেছানো হয়।‘দ্য ডন’ পত্রিকা জানায়, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর বান্দিয়াল বলেছিলেন, আদালত সোমবারেই একটি ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ জানাতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আর্জি নেওয়ার পর একথা বলেছিলেন বান্দিয়াল।
এদিন আদালতে শুনানি শুরুর পরই বিচারপতি আহসান অনাস্থা প্রস্তাবের প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেন।নতুন প্রধানমন্ত্রী না পাওয়া পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের দায়িত্বে
ওদিকে, বান্দিয়াল জানান, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটের আগে পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার বিষয়টি আইনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকলেও সেটি হয়নি – এ বিষয়টি তার নজরে এসেছে।
অন্যদিকে, বিচারপতি আখতার ডেপুটি স্পিকারের রুলিং পাসের সাংবিধানিক এখতিয়ার থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার মতে, কেবল স্পিকারেরই রুলিং পাসের অধিকার আছে। স্পিকারের অনুপস্থিতিতেই ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন চালিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।
আর প্রধান বিচারপতি ডেপুটি স্পিকারের রুলিংয়ে পার্লামেন্টারি কমিটির নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের কথা উল্লেখ থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিরোধীদল ইচ্ছাকৃতভাবে বৈঠকে অংশ নেয়নি।
এরপর শুনানিতে যৌথভাবে বিরোধীদলগুলো থেকে প্রতিনিধিত্ব করা ফারুক এইচ নায়েক আদালতকে অনুরোধ করেন সোমবারেই বিষয়টির ওপর রায় দিয়ে দিতে।
আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চকে তিনি জানিয়ে দেন যে, পাকিস্তানে নতুন নির্বাচন আয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সুপারিশ চেয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতাকে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।কিন্তু বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, “বিষয়টি পুরোপুরি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনও রায় দিতে পারি না।” এরপরই শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত করেন তিনি।