শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » দুবাই বসে মিল্কি হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপুকে খুন করা হয়, বাজেট ১৫ লাখ: র্যাব
দুবাই বসে মিল্কি হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপুকে খুন করা হয়, বাজেট ১৫ লাখ: র্যাব
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ রাজধানীর ঢাকা ২০১৩ সালে গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে সংঘটিত মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, টিপুকে হত্যা করতে ১৫ লাখ টাকার বাজেট করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন মুসাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঘটনার ১২ দিন আগে মুসা দুবাই চলে যান। সেখান থেকে তিনি কিলার নিয়োগ করা থেকে শুরু করে পুরো হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এঘটনায় অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাসির উদ্দিন (৩৮) এবং মোরশেদুল আলম (৫১)। এর আগে প্রকাশ্যে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা মো. মাসুম ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। গুলি করার সময় মাসুম অস্ত্রের ট্রিগার চেপে ধরে রেখেছিলেন। সেই গুলিতে টিপুর সঙ্গে নিহত হন রিকশাআরোহী প্রীতিও। কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনা পরে জেনেছেন মাসুম।
পুরনো দুটি হত্যাকাণ্ড, ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ, তিনটি বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে বাধা, এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, এজিবি কলোনিতে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে হত্যাকাণ্ডের প্রথম থেকে ধারণা করছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও কমলাপুর আইসিটির ঠিকাদারি ও টেন্ডারসহ প্রতিবছর কোরবানির হাটের ইজারা নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও মানিকের সঙ্গে টিপুর দ্বন্দ্ব ছিল। এ ছাড়া খিলগাঁও, শাহজাহানপুর ও এজিবি কলোনির বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক ও সরকারবিরোধী প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যা মামলায় টিপু আসামি ছিলেন। এ মামলায় অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে টিপুর নাম বাদ পড়ায় গ্রেফতারদের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।