শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত তাণ্ডবের এক বছর, এখনও ৫৬ মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত তাণ্ডবের এক বছর, এখনও ৫৬ মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ
৪৯৪ বার পঠিত
শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত তাণ্ডবের এক বছর, এখনও ৫৬ মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১সালের এই দিনে  ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত  ধর্মভিত্তিক উগ্রবাদী সংঠন হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের নারকীয় দিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। হেফাজত ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৫৬টি মামলায় একটিতেও গত এক বছরে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিতে পারেনি পুলিশ। তবে দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘটনায় মোট ৮০টি মামলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় মোট ১৩৯৭ জনকে। এর মধ্যে সর্বশেষ হামলায় ৫৬টি গ্রেপ্তার হওয়া ৭৫৮ জনের মধ্যে মাত্র ১২০ জন জেলহাজতে আছেন। বাকিরা জামিনে মুক্ত। ২০১৬ সালের দুটি ঘটনার দায়ের হওয়া ২৪টি মামলায় মোট ১০০৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন।।

গত বছরের ২৬ মার্চ দুপুরের পর হেফাজতের নেতাকর্মীরা ও মাদরাসা ছাত্ররা প্রথমে হামলা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। এসময় রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল, টিকিট কাউন্টার ও বুকিং কাউন্টারসহ সম্পূর্ণ স্টেশন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

---হেফাজতের আগুনে পুড়ে ছাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেস ক্লাব, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১২ হন জন।

আলোচিত ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে হেফাজতের নেতৃত্বস্থানীয় যে কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিলন, তাদের সবাই এখন জামিনে মুক্ত। এছাড়া তাণ্ডবের এক বছরেও কোনো মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিতে পারেনি পুলিশ। ফলে তাণ্ডবে জড়িতদের বিচার হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

---২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত কর্তৃক পরিচালিত তাণ্ডবের জন্য রাজপথে নেমে নির্দেশনা দিচ্ছেন মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহ।গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলার দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১০টি মামলা সিআইডি, ৯টি পিবিআই, ২৭টি সদর মডেল থানায়, ডিবিতে চারটি, আশুগঞ্জে তিনটি, সরাইলে দুইটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তবে কোনো মামলাতেই অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৭৫৮ জনের মধ্যে জামিনে আছেন ৬৩৮ জন।

হেফাজতের এই হামলার শিকার হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ অন্তত ছয় সাংবাদিক। মামলার তদন্তের বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন বলেন, প্রেস ক্লাবে হামলার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে পায় পিবিআই। মামলা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পিবিআইয়ের সদস্যরা গত একবছরে কেবল একবার এসেছিলেন। প্রেস ক্লাবের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে হামলার মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তের ভূমিকা নিয়ে বিস্মিত হচ্ছি।এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই নারকীয় হামলা গুলোর অভিযোগপত্র দেওয়া হোক। এসব অভিযোগপত্রে যেন সত্যিকারের যারা দোষী তাদের আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যাশা থাকবে কোনো নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।

---হেফাজতের তাণ্ডবের শিকার জেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার বাদী আব্দুল হামিদ জানান, জেলা পরিষদ ভবন ও ডাকবাংলোর সংস্কার করে এখন পরিষদের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। তবে তার করা মামলা নিয়ে প্রথম পুলিশের যে তৎপরতা ছিল, সেটি এখন আর নেই।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুন নূর বলেন, ২০১৬ সালেও এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শহরজুড়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। একই বছর নাসিরনগরে হিন্দুপল্লিতে হামলা হয়। ওই দুই ঘটনায় জড়িতদের বিচার হলে তাণ্ডবের পুনরাবৃত্তি হতো না। আলোচিত এসব ঘটনার বিচার নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তাহলেই আর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, আমাদের কাছে যেসব মামলা রয়েছে তা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সবগুলো মামলায় তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর