শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ২৫০ কোটি টাকা নিয়ে ধরা পরলেন ইউক্রেনের সাংসদ স্ত্রী
২৫০ কোটি টাকা নিয়ে ধরা পরলেন ইউক্রেনের সাংসদ স্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শরণার্থী সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করার সময় ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে ধরা পরলেন ইউক্রেনের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী আনাস্তাসিয়া কোটভিটস্কা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ অন্তত ২৫০ কোটি টাকা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আনাস্তাসিয়া ইউক্রেনের বিশিষ্ট বিত্তশালী ও সাবেক বিতর্কিত সাংসদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী। ডলার ও ইউরো মিলিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেনের ভিলক চেকপয়েন্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের কথা জানাননি তিনি। কিন্তু হাঙ্গেরিতে পৌঁছে অর্থ নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।
ইউক্রেন থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের সময় হাঙ্গেরির আবগারি দপ্তরের নজরে পড়ে বলেও জানা গেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থসহ একটি সন্দেহভাজন লাগেজের ছবি ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই ভিলক চেকপয়েন্টের সীমন্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারণ অর্থ পাচার করার বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে অর্থ পাচারের চেষ্টা করায় আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কিয়েভের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইগর অবশ্য জানিয়েছেন, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দেশ ছাড়ছেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ইগর বলেন, ‘‘আমার সমস্ত টাকা ইউক্রেনের ব্যাঙ্কে আছে। আমি কিছুই বের করিনি।’’
ইগরের প্রথম পক্ষের মেয়েও টাকা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এই অভিযোগ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এদিন নিজের মা এবং হাঙ্গেরির অন্য দুই পুরুষের সঙ্গে তিনিও ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
ইগর ইউক্রেনের পারমাণু শক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও ইউক্রেনের ইউরেনিয়ামের মজুত করার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। বর্তমানে এই মজুতের বেশ খানিকটা দখল করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন অ্যাভাকভের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।