শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনকে এস-৪০০ পাঠাতে তুরস্ককে আমেরিকার চাপ
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনকে এস-৪০০ পাঠাতে তুরস্ককে আমেরিকার চাপ
৮৮২ বার পঠিত
রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউক্রেনকে এস-৪০০ পাঠাতে তুরস্ককে আমেরিকার চাপ

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে চাচ্ছে আমেরিকা! বার্তা সংস্থা রয়টার্স ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আঙ্কারার হাতে যখন ‘এস-৪০০’র প্রথম চালান আসে, তখন থেকে ওয়াশিংটন এই রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে তুরস্ককে সরে যাওয়া অনুরোধ করে আসছে। তুরস্ক তা না মানায় দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির যৌথ কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ এখন তুরস্কের কাছে থাকা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেই সম্ভাবনা অনানুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে বাইডেন প্রশাসন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের তুরস্ক সফরের সময় এ বিষয়টি সামনে আনা হয়। তুরস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় শেরম্যান ইউক্রেনের সমর্থনে আমেরিকা ও মিত্ররা কীভাবে কাজ করতে পারে এবং ওয়াশিংটন ও আঙ্কাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে উন্নত করা যায়, সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে এস-৪০০ ব্যবস্থা ইউক্রেনে ব্যবহারের বিষয়ে তুর্কি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।

গত ৫ মার্চ শেরম্যান তুর্কি সংবাদমাধ্যম হাবেরতুর্ককে বলেন, ‘এটা সবাই জানেন যে, তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ নিয়ে আমেরিকার মতবিরোধ আছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে নতুন পথ বের করা যেতে পারে।’

ফেলাডেলফিয়ার পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যারন স্টেইন রয়টার্সকে বলেন, ‘তুরস্ক যেন ধারালো ছুরির ওপর দিয়ে হাঁটছে। যদি এস-৪০০ ইউক্রেনে পাঠানো হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা মস্কোর রোষানলে পড়বে।’

তার মতে, এরদোগানের কাছে রাশিয়ার ‘এস-৪০০’ তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই এটি হস্তান্তর আঙ্কারার জন্য সহজ হবে না।’

আমেরিকার তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম দফা এস-৪০০ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তুরস্ক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে এই ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে চুক্তি সই হয়। এস-৪০০ ব্যবস্থায় পাঁচ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে তাতে একযোগে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা রয়েছে।

তুরস্ক যদি আমেরিকার চাপে ইউক্রেনে এস-৪০০ মোতায়েন করে তাহলে রাশিয়া থেকে ‘এস-৪০০’র দ্বিতীয় চালান নেওয়ার প্রক্রিয়াও যে সঙ্গে সঙ্গে থেমে যাবে তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়াও, রাশিয়ার তৈরি এমন অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর