শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন করবে না- ন্যাটো
ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন করবে না- ন্যাটো
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনের আকাশে নোফ্লাই জোন ঘোষণা করার আহ্বান এবার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। এর আগে একই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন সরকার বলেছিল, এ ধরনের ঘোষণা আমেরিকাকে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলবে যা থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ পর্যন্ত কয়েকবার তার দেশের আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোট ঘোষণা করার জন্য আমেরিকা ও ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের আকাশে যাতে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান উড়তে না পারে সেজন্য তিনি বারবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনকে কথিত সহযোগিতা দেয়ার দাবিদার সবগুলো পক্ষ এ পর্যন্ত এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। অথচ রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার আগে এই পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সব রকম সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।
গতকাল (শুক্রবার) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদপ্তরে এই জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, জোটের সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন সংক্রান্ত আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে তিনি একথাও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আসলেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় থাকবে। নতুন নতুন দেশকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে স্টোলটেনবার্গ বলেন, আমরা ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে আমাদের সবগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব বৈঠকে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড ও কার্যসূচি সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করব।
স্টোলটেনবার্গ এমন সময় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দিলেন যখন ইউক্রেনকে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব ইউরোপের ওই দেশটিতে বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে। রাশিয়া শুরু থেকে পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণকামিতার প্রচণ্ড বিরোধিতা করে এসেছে। সুইডেন ১৮১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি এবং দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে বলা হয়েছে, সুইডেন কোনো সামরিক জোটে জড়াবে না।
ন্যাটোর মহাসচিব শুক্রবারের ব্রাসেলস বৈঠক শুরু হওয়ার আগে বলেছিলেন, ন্যাটো ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো পক্ষ নয় এবং আমরা সরাসরি রাশিয়ার মুখোমুখি হতে চাই না।