শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনে- রাশিয়া ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে: নেটো
ইউক্রেনে- রাশিয়া ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে: নেটো
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেটোর মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ বলছেন, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় রাশিয়া যে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে, তার প্রমাণ তারা পেয়েছেন।এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার হতে দেখেছি, এবং আরও অন্য ধরনের গোলা ব্যবহার করার খবর পেয়েছি যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।“
ইউক্রেনের আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা কিংবা সে দেশে সেনা পাঠানোর কোন পরিকল্পনা এই পশ্চিমা সামরিক জোটের নেই বলে মি. স্টলটেনবার্গ জানান।
তবে ইউক্রেনকে অন্যভাবে সাহায্য করার কথা তিনি বলেন।
নেটো মহাসচিব একই সাথে এই আগ্রাসনের অবসান ঘটানোর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ হামলার পর যে আগুন লাগে তাতে বেশ ক’জন নিহত ও আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ইউক্রেন সরকার এসম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পরমাণু চুল্লিগুলি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে ঐ কেন্দ্রের কর্মীরা সেদিকে নজর রাখছেন।
তবে চুল্লির ভেতরে পরমাণু জ্বালানিকে যদি শীতল রাখা না যায়, বা কোনভাবে সেটা ব্যাহত করা হয়, তাহলে ব্যাপক মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে।
এতে বলা হয়েছে, “এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ থাকেন যার রুশ গোলাবর্ষণের জন্য অন্যত্র সরে যেতে পারেননি। ফলে এরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে পারেন।“ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর থেকে রাশিয়ায় স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর নানা ধরনের চাপ আসছে।
এরই মধ্যে বিবিসির রুশ ভাষা বিভাগের ওয়েবসাইট রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।পাশাপাশি ডয়েচে ভেলে, রেডিও লিবার্টি এবং মেডুজা মিডিয়া আউটলেটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকেও রাশিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ওদিকে, রাশিয়ার সংসদের নিম্ন কক্ষ একটি নতুন আইন পাশ করেছে তাতে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়া খবর প্রচারকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
এজন্য বড় অর্থের জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ নিষেধাজ্ঞার ডাক দিলে তারও বিচার করার ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে।
রুশ সংবাদমাধ্যমকে ইউক্রেনের আগ্রাসনকে বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে বর্ণনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর জেরে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সর্বশেষ স্বাধীন সংবাদমাধ্যম টিভি রেইন তার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।
এই টিভি চ্যানেলটি তার শেষ সম্প্রচারের সময় দেখায় তার সংবাদ কর্মীরা টিভি সেটা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
রুশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অবিযোগ করেছে যে এই চ্যানেল থেকে “কট্টরপন্থায় উসকানি দেয়া হচ্ছে, রুশ নাগরিকদের অপমান করা হচ্ছে, জন শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে এবং বিক্ষোভকে উসকে দেয়া হচ্ছে।“