বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের ‘শতবর্ষী পরিকল্পনার’ কথা তুলে ধরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেছেন, “২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনও কেউ ব্যাহত করতে না পারে।”
সফিপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে এ অনুষ্ঠনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি এবং তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রনয়ন করে আমরা তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি।”
সরকারপ্রধান বলেন, “ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, এই ব-দ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যাতে রক্ষা পায় এবং এদেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেই পরিকল্পনাও আমি দিয়ে গেলাম ২১০০ সাল পর্যন্ত।”
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।তিনি বলেন, “মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী আমরা যখন উদযাপন করছি আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। ভূমিহীন থাকবে না। কাজেই সেই ভূমিহীন মানুষের জন্য আমরা ঘর করে দিচ্ছি, তাদের জমি করে দিচ্ছি।
“পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালব, এই ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। আজকে আমরা বিদ্যুৎ প্রায় প্রতি ঘরে পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে সাথে আমাদের যেই লক্ষ্য ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল।
“ব্রডব্যান্ড প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছে গেছে। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। আজকে অনলাইনে সমস্ত কাজ করা যাচ্ছে, সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এমন কি ভূমির পর্চা থেকে শুরু করে সব কিছুই ডিজিটাল করে দিচ্ছি।”
উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
“বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দর ভাবে বাঁচুক সেটাই আমরা চাই। সেই জন্যই একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কাজেই সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন। সেটাই আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ করতে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং এই ক্ষেত্রেও আমাদের এই আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, “আরেকটি বিষয় আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, একটা ফান্ড গঠন করা হবে।
“কারণ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেকে কাজ করতে পারেন না বা বৃদ্ধ হয়ে যান, নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ফান্ড থেকে যাতে সহযোগিতা করা যায়, তার জন্য আমরা একটা ট্রাস্ট ফান্ড করে দেব এবং এখানে সিড মানি যেটা, সেটার ব্যবস্থা আমি করে দেব।”
অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফিপুররে আনসার ভিডিপি একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।