বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে সাত কোটি জন্মসনদ বাতিল
বাংলাদেশে সাত কোটি জন্মসনদ বাতিল
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে ২০০৪ সালে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন করে সরকার। এ আইনের আওতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-লিঙ্গ নির্বিশেষে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মৃত্যুরও ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুসনদ সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়। এরপর ১৮টি কাজের জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন থেকে সহজেই হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা যেত। ২০০৬ সালে অনলাইন পদ্ধতিতে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া শুরু হয়।
২০১৭ সালে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষ জন্মনিবন্ধন করেছে। অথচ সংশ্নিষ্টরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায় এসেছে। একেকজন কয়েকবার নিবন্ধন করেছেন, তাই তা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর সরকার গত বছর আগস্ট মাসে সংশোধিত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০২১ প্রণয়ন করে। তখন আরেকটি সার্ভার চালু করে। এ সময় ২০১২ সালের আগে যারা জন্মনিবন্ধন করেছিলেন, নতুন সার্ভারে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে অন্তত ৭ কোটি জন্মনিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।