মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » অমিক্রনে সবাই কি আক্রান্ত হতে পারে - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অমিক্রনে সবাই কি আক্রান্ত হতে পারে - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনকে মৃদু ভেবে হেলাফেলার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সংক্রামক রোগবিষয়ক শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি মনে করেন, ধরনটি ডেলটার চেয়ে কম মারাত্মক হলেও আগের ধরনগুলোর মতোই এটি কারও কারও জন্য গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। ডেলটার তুলনায় কম মারাত্মক হলেও অমিক্রনে আক্রান্ত মানুষকে কেন এখনো হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, কেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা মারা যাচ্ছেন—এ ব্যাপারে মারিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, যেসব মানুষ অমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে উপসর্গবিহীন রোগী যেমন রয়েছেন, তেমনি কাউকে কাউকে গুরুতর জটিলতার মধ্যেও পড়তে দেখা যাচ্ছে। কারও কারও মৃত্যুও হচ্ছে। এ বিশেষজ্ঞ জানান, আগে থেকে জটিল রোগে ভোগা, বয়স্ক ও টিকা না নেওয়া মানুষ অমিক্রনে আক্রান্ত হলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর রূপ ধারণ করতে পারে।
মারিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্রমান্বয়ে সবাই অমিক্রনে আক্রান্ত হবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, বিস্তারের দিক থেকে ডেলটার জায়গা দখল করে নিচ্ছে অমিক্রন। এটি খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। তবে এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার মানে এই নয় যে প্রত্যেকেই অমিক্রনে আক্রান্ত হবে।
এর আগে প্রাথমিক তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী বিদ্যমান টিকাগুলো অমিক্রনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে। আর সে জায়গা থেকে করোনার ‘উদ্বেগের ধরন’ অমিক্রন নিয়ে উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল তারা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসও শিগগির মহামারির অবসান না হওয়ার আশঙ্কা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিগগির এ মহামারির অবসান হওয়ার কোনো আলামত নেই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে ভারত।