সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায়- ব্রিটেন ও আমেরিকার দূতাবাস থেকে কর্মী সরানোর প্রস্তুতি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায়- ব্রিটেন ও আমেরিকার দূতাবাস থেকে কর্মী সরানোর প্রস্তুতি
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেটো জোট ঘোষণা করেছে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় পূর্ব ইউরোপে জোটের সদস্য দেশগুলোতে বাড়তি যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠানো হচ্ছে। নেটো বলছে তাদের সৈন্যদের প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
এদিকে, ব্রিটেন ইউক্রেনে তাদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাহার করছে। ব্রিটিশ সরকার বলছে রাশিয়ার সামরিক হুমকির মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে ইউক্রেনে ব্রিটিশ কূটনীতিকদের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি তৈরি না হলেও তারা কিয়েভে তাদের দূতাবাসের অর্ধেক কর্মীকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে।তবে ব্রিটেন কিয়েভে তাদের দূতাবাস খোলা রাখছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশে চলে আসার নির্দেশ দেয়। ইউক্রেনে আমেরিকান কোম্পানির সরাসরি নিযুক্ত কর্মীদেরও স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকা বলছে আক্রমণ “যে কোন মুহূর্তে” ঘটতে পারে। আমেরিকা তার নাগরিকদের এখন ইউক্রেন বা রাশিয়ায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাশিয়া কোনরকম সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে, যদিও সীমান্তে রুশ সৈন্য সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে এখনই এধরনের প্রত্যাহার অযৌক্তিক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে তারা ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের এখনই প্রত্যাহার করছে না। তবে, জার্মানি বলেছে তাদের কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে ইউক্রেন ছাড়তে পারে।
ইইউর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এ বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যে বৈঠকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দেবেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।যেসব স্থানে রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে
যেসব স্থানে রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে
পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো আরো বলছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। তারা বাড়তি সৈন্য প্রস্তত রাখছে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করছে।
ডেনমার্ক, স্পেন, বুলগেরিয়া এবং নেদারল্যান্ডসসহ নেটোর সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা জোরদার করতে পূর্ব ইউরোপে আরও জঙ্গি বিমান এবং রণতরী পাঠাচ্ছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়াকে তার সীমানাভুক্ত করার পর নেটো পূর্ব ইউরোপে তার সদস্য দেশগুলোতে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়েনিয়া এবং পোল্যান্ড।
রাশিয়া অভিযোগ করছে নেটো ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে।
নেটো সামরিক জোটকে রাশিয়া একটি নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে এবং মস্কোর দাবি ইউক্রেন সহ পূর্ব ইউরোপে নতুন করে এই জোটের সম্প্রসারণ বন্ধ করার ব্যাপারে আইনি নিশ্চয়তা নেটোকে দিতে হবে।
আমেরিকা বলছে নেটোর সম্প্রসারণ নয়, বরঞ্চ রাশিয়ার আগ্রাসনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইউক্রেন রাশিয়া সীমান্তে আনুমানিক এক লাখ রুশ সৈন্য মোতায়েন করার পটভূমিতে নেটোর প্রধান ইউরোপে নতুন লড়াই বাধার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসআমেরিকার রণসজ্জা
শনিবার আমেরিকা প্রায় ৯০ টন ওজনের “মারণাস্ত্র” ইউক্রেনে পাঠিয়েছে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য, যার মধ্যে রয়েছে সম্মুখ রণাঙ্গনে প্রতিরোধী যুদ্ধ সরঞ্জাম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, “রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হিসাবনিকাশ বিবেচনায় রেখে আমেরিকা তার পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করছে এবং ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে তারা আরও সামরিক সহায়তা পাঠাবে।”
রবিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর মি. পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তিনি ইউক্রেন সরকারে নেতৃত্ব দেবার জন্য মস্কো-পন্থী এক ব্যক্তিকে সেখানে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করেছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন এই ব্যক্তি ইউক্রেনের সাবেক একজন এমপি এবং তার নাম ইয়েভহেন মুরাইয়েভ।
মি. মুরাইয়েভ রয়টার্স বার্তান সংস্থার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে “নির্বোধ” বলে বর্ণনা করেছেন।