মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বেশির ভাগ টিকাই ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে না : নিউইয়র্ক টাইমস
বেশির ভাগ টিকাই ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে না : নিউইয়র্ক টাইমস
বিবিসি২৪নিউজ,খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ মানুষের হাতে এখন যে কভিড টিকাগুলো আছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ঠেকাতে সেগুলোর অধিকাংশই তেমন কোনো কাজে আসবে না বলে তথ্য আসছে সাম্প্রতিক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে। এসব গবেষণার তথ্য তুলে ধরে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে গতকাল বলা হয়েছে, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ফাইজার এবং মডার্নার টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজেই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রাথমিক সফলতা দেখাতে পেরেছে। যদিও বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এই টিকা পাওয়া যায় না। অবশ্য সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে এখনকার টিকাগুলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কার্যকর বলে দেখা গেছে গবেষণায়।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং চীন বা রাশিয়ায় তৈরি অন্য টিকাগুলো ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ কোনো কাজ করে না বলে প্রাথমিক গবেষণার ফলে দেখা গেছে।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ যেহেতু প্রচলিত এসব ডোজ দিয়েই তাদের টিকাদান কর্মসূচি চালিয়েছে, তাই মহামারীর সময়ে এর একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলেও গবেষকরা মনে করছেন। অবশ্য এর বেশির ভাগ গবেষণাই হয়েছে পরীক্ষাগারে, যেখানে শরীরের পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিশ্বের জনসংখ্যার ওপর এর প্রভাব যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, এমআরএনএ প্রযুক্তির ফাইজার এবং মডার্নার টিকা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করেছে।
অন্যান্য টিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। সারা বিশ্বে সরবরাহ করা কভিড টিকার অর্ধেকই চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের হলেও এসব টিকা ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে প্রায় কোনো সুরক্ষাই দেয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। চীনের বেশির ভাগ মানুষই নিজ দেশের এ দুই কোম্পানির টিকা নিয়েছেন। এ ছাড়া মেক্সিকো এবং ব্রাজিলের মতো অন্যান্য নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশেও ব্যাপকভাবে এসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ ঠেকাতে এর কোনো কার্যকারিতাই ছিল না।
ভারতের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘কোভিশিল্ড’ নামে এই টিকা নিয়েছেন। এ ছাড়া আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের ৪৪ দেশে এই টিকার ৬ কোটি ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করেছে বিশ্বব্যাপী টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরম কোভ্যাক্স।
গবেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক’ টিকার ডোজ ‘ওমিক্রন’-এর বিরুদ্ধে একই ধরনের হতাশাব্যঞ্জক ফল দিতে পারে। আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার দেশুগুলোতেও এই টিকা দেওয়া হয়েছে।