রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিক্ষাঙ্গন | শিরোনাম | সাবলিড » দেশের সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি লটারি : শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি লটারি : শিক্ষামন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: পর্যায়ক্রমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নায়েম মিলনায়তনে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাওজিয়া করিম, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়।
এরমধ্যে অনৈতিক বিষয়ও জড়িয়ে যায়। অনেক তদবির আসে।
এজন্য আমরা লটারির ব্যবস্থার কথা চিন্তা করি। অধিকাংশই এ ব্যবস্থায় খুশি।
এর ফলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। এ ব্যবস্থা প্রতিবছর চালু থাকবে। এটিকে আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেটাও ভাবছি। দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষা পরিবারের অনন্য দিন। দীর্ঘদিনে ধরে অস্বস্তি ছিল ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে। ভর্তি নিয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। গত বছর সরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করি। এ বছর প্রথম বারের মতো বেসরকারি স্কুলে শুরু হলো। এর মাধ্যমে ভর্তি নিয়ে অভিযোগ ও অস্বচ্ছতা ৯৯ ভাগ মুক্ত করতে পেরেছি। কোথাও কোনো অস্বচ্ছতা নেই। শিক্ষর্থীদের যে অস্বস্তিকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হতো সেটি থেকে মুক্ত হলো।
অতিরিক্ত সচিব ফাওজিয়া করিম বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে নিরপেক্ষভাবে ভর্তি করা যাচ্ছে। ঘরে বসে ফরম ফিলাপের মাধ্যমে কোন স্কুলে ভর্তি হবে, তা জেনে যাচ্ছে। আমাদের সময়ে স্কুলে স্কুলে দৌড়াতে হতো ভর্তির জন্য। প্রযুক্তির ব্যবহারে লটারির মাধ্যমে ভর্তি আমাদের বড় অর্জন।
অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম বলেন, এই লটারির মাধ্যমে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে এ উদ্ভাবন সম্পন্ন করায় সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। অভিভাবক ওশিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উপস্থিতি কমে গিয়েছে। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি ব্যাপক সুবিধা দিয়েছে।