মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে পারে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে পারে : প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ‘ইচ্ছা করলেই’ পারে। রপ্তানির লক্ষ্যে বিশ্ব বাজারে নতুন নতুন পণ্য তুলে ধরার জন্য গবেষণায় গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে
মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাত দিনের এ সম্মেলনে দেশের সম্ভাবনাময় নয়টি খাতকে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে অগ্রাধিকার দিয়ে তুলে ধরার সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত সময়োপযোগী’ হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
খাতগুলো হলো- অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, ফিনটেক (আর্থিক প্রযুক্তি), চামড়া, ওষুধ, স্বয়ংক্রিয় ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট-বস্ত্র শিল্প, অতিচাহিদাসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নতুন নতুন পণ্য আরও কী আমরা উৎপাদন করতে পারি এবং আমরা রপ্তানি করতে পারি সেটাও গবেষণা করে বের করতে হবে।
“সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে এবং কোন কোন দেশে কী কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেটা অনুধাবন করে সেই পণ্য আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারি কি না সেটা আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে।”
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের সবাইকে এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আমাদের রপ্তানি পণ্যের সংখ্য আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
“বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে; আর বাংলাদেশ এমন একটা দেশ.. আমরা ইচ্ছা করলে পারি। সব কিছুই করতে পারি। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে, যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন।”
‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এর মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য দেশি বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে এই সব খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।