বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » ডাব্লিউএইচও কর্মীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যৌন হেনস্থার অভিযোগ
ডাব্লিউএইচও কর্মীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যৌন হেনস্থার অভিযোগ
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইবোলা-কালে যৌনতার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রিপাবলিক অফ কঙ্গোর একাধিক ডাব্লিউএইচও কর্মীর বিরুদ্ধে।
ভয়াবহ রিপোর্ট হাতে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র হাতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কঙ্গোয় ইবোলা এপিডেমিকের চেহারা নিয়েছিল। সে সময় বহু কর্মী নিয়োগ করতে হয়েছিল ইবোলার সঙ্গে লড়াই করার জন্য। একাধিক নারী কর্মীকে যৌনতার বিনিময়ে চাকরির শর্ত দিয়েছিল সেখানকার ডাব্লিউএইচও কর্মীরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ডাব্লিউএইচও প্রধান সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
অভিযোগ আগেই কানে এসেছিল ডাব্লিউএইচও-র। তারই ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট ডাব্লিউএইচও-র হাতে এসেছে। ৩৫ পাতার রিপোর্টে একাধিক অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ৮০টি এমন অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্ত প্রায় ২০ জন ডাব্লিউএচও কর্মী। তাদের অধিকাংশই কঙ্গোর নাগরিক। তবে বিদেশিও আছে। অন্তত ৩০ জন নারী সরাসরি ডাব্লিউএইচও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অন্তত ৫১ জন নারী ডাব্লিউএইচও ছাড়াও ইউনিসেফ, অক্সফ্যামের মতো সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।
আক্রান্ত নারীদের অভিযোগ, ইবোলার সময় বেশ কিছু চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ইবোলার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সাময়িক সময়ের শর্তে বহু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছিল ডাব্লিউএইচও। অভিযুক্ত কর্মীরা সে সময় বহু চাকরিপ্রার্থী নারীর ইন্টারভিউ নেয়। তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বসের সঙ্গে যৌনতায় তাদের আপত্তি আছে কি না। যৌন সংসর্গ করলে পদোন্নতির কথাও বলা হয়।
আক্রান্ত নারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, কাজের প্রয়োজনে তারা রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগে তাদের ধর্ষণও করা হয়েছে।
ডাব্লিউএইচও-র বক্তব্য, যে ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ, তাদের অধিকাংশই টেম্পোরারি স্টাফ। অর্থাৎ, তাদেরকেও ইবোলা মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হয়েছিল। সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশিত হয়নি। তবে কঙ্গোর ঘটনা একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও একইরকম ঘটনা ঘটছে না তো?