বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » উ.কোরিয়া আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
উ.কোরিয়া আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।এক মাসের মধ্যে এটি তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে কথা বলার কয়েক মিনিট আগে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ঐ ভাষণে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৈরিতার অভিযোগ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী যারা এই ধরনের উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করে থাকে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬:৪০ মিনিটে পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে।
জাপানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষায় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি “স্বল্পপাল্লার বলে ধারণা করা হচ্ছে” এবং উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশের মুপিয়ং-রি থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই একই এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
২০১৯ সাল থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ পুনরায় শুরু করার পর, উত্তর কোরিয়া একই সময়ে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।এই সব ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এমন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে একই সঙ্গে একের অধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়।
কয়েকজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অনুমান করছেন যে একক উৎক্ষেপণে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে যদিও এমন কোন প্রমাণ নেই। উত্তর কোরিয়া সাধারণত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পর দিন সকালের আগ পর্যন্ত তাদের অস্ত্র পরীক্ষার বিস্তারিত ঘোষণা করে না।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই উৎক্ষেপণের খবর আসে।তার বক্তব্যে, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, কিম সং, তার দেশের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের অগ্রগতির পক্ষ সমর্থন করে এটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার “বৈরী নীতির” প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করেন।
কিম বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে যে অস্ত্র পদ্ধতি রয়েছে বা তারা যে অস্ত্র তৈরি করে থাকে, আত্মরক্ষার জন্য সেই অস্ত্রের সমতুল্য অস্ত্র তৈরি, পরীক্ষা, উৎপাদন এবং অধিকারী (উত্তর কোরিয়ার) হওয়ার বিষয়ে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।”দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক শক্তি গড়ার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে দেয়া বক্তৃতার সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রস্তুত ইঙ্গিত দেওয়ার কয়েকদিন পর এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলো।