শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্র- ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার অকাস চুক্তিতে ক্ষুব্ধ ফ্রান্স, কূটনৈতিক উত্তেজনা
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্র- ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার অকাস চুক্তিতে ক্ষুব্ধ ফ্রান্স, কূটনৈতিক উত্তেজনা
১০৮৪ বার পঠিত
শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুক্তরাষ্ট্র- ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার অকাস চুক্তিতে ক্ষুব্ধ ফ্রান্স, কূটনৈতিক উত্তেজনা

---বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধিঃ চীনকে মোকাবেলা করতে প্রভাবশালী পশ্চিমা তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে অকাস নামের একটি নিরাপত্তা চুক্তির কথা ঘোষণা করার কয়েক দিন পরেই এই সমঝোতা বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহ কথা বলা হয়েছে।

পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিধর সদস্য ফ্রান্স এই চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে। অকাসের তীব্র নিন্দা করে বলেছে এর মাধ্যমে তাদের “পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।”

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এরকম একটি নিরাপত্তা চুক্তির ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্যারিস এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।

পশ্চিমা কোনো মিত্র দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানো খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রান্স তাদের রাষ্ট্রদূতদের এই প্রথমবারের মতো ডেকে পাঠাল।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করেই তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লু দ্রিয়া শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর অনুরোধে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। যে সমঝোতা হয়েছে তাতে মিত্র দেশ ও অংশীদারদের মধ্যে এমন আচরণের বিষয় রয়েছে যা ৫গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের জোটসমূহের যে লক্ষ্য, অংশীদারিত্বের ওপর এর প্রভাব পড়বে।”

“আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সেই বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে,” বলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের অনেকেও নতুন এই সমঝোতার সমালোচনা করছেন এবং এর নামের উচ্চারণের সাথে মিলিয়ে জোটটিকে “অকওয়ার্ড” বা “বেমানান” বলেও উল্লেখ করেছেন।

চীনও এই উদ্যোগের সমালোচনা করে একে “স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতা” বলে উল্লেখ করেছে।কী আছে অকাস চুক্তিতে
মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবেলার জন্যই নতুন এই অকাস জোট গঠন করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে বহু বছর ধরেই সংকট বিরাজ করছে এবং এর জের ধরে উত্তেজনাও চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বুধবার অকাস গঠনের কথা ঘোষণা করেন।

এই তিন নেতার এক বিবৃতিতে বলা হয়, “অকাসের আওতায় প্রথম উদ্যোগ হিসেবে আমরা পরমাণু-চালিত সাবমেরিন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তায় অঙ্গীকার করছি। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতায় এবং আমাদের যৌথ স্বার্থের সহায়তায় মোতায়েন করা হবে।”

নবগঠিত অকাস জোটের তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তাতে পরমাণু শক্তি-চালিত সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তি সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে অ্যাডেলেইডে এসব সাবমেরিন নির্মাণ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মাইকেল শোব্রিজ বলেছেন, “একটি পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রচণ্ড সক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে কোনো অঞ্চলে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। বিশ্বের মাত্র ছ’টি দেশের পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।”

অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন নির্মাণের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে এই চুক্তিতে।

কেন ক্ষুব্ধ ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্রদ্ধ হয়েছে প্যারিস। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সাথে তাদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।

দু’হাজার ষোল সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩,৭০০ কোটি ডলার মূল্যের সেই চুক্তি সই হয়েছিল, যার আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-আশার বলছেন, অকাস চুক্তিটি ফ্রান্সের জন্য একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। তেমনি নতুন এই নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা ফরাসী নেতাদের জন্য বিস্ময়করও, কারণ এবিষয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।

নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়।

বারবারা প্লেট-আশার বিবিসির ওয়েবসাইটে এই ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লিখেছেন, “ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর ঘটনা সম্ভবত নজিরবিহীন। আমেরিকার প্রাচীনতম বন্ধু ফ্রান্স। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাও একথা উল্লেখ করেছেন।”ফ্রান্স বলছে, অর্থনৈতিক কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়নি। তাদের ক্ষোভের পেছনে কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা-জনিত কারণও রয়েছে।

প্যারিস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা হিউ স্কফিল্ড বলছেন, “প্যারিসে এলিজে প্রাসাদ উদ্বিগ্ন একারণে যে ওয়াশিংটন, ক্যানবেরা এবং লন্ডনের কর্মকর্তারা তাদের ক্ষোভের কারণকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন এবং তাদেরকে ছোট করে দেখছেন।”

“ফ্রান্স বলছে সাবমেরিন চুক্তির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে তারা ক্ষুব্ধ হয়নি। বরং মিত্র দেশ হওয়া স্বত্বেও, যেভাবে ফ্রান্সকে এই দৃশ্যের বাইরে রেখে ইংরেজিভাষী তিনটি দেশের মধ্যে গোপনে আলাপ আলোচনা হয়েছে তাতে তারা ক্ষুব্ধ।”

বিবিসির সাংবাদিক হিউ স্কফিল্ড বলেন, “একারণেই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ শুক্রবার রাতে তার রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তারা দেখাতে চাইছে ফ্রান্সের জন্য এটা অনেক বড় একটি বিষয়। এর ফলে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যের সাথে ফ্রান্সের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।”

অকাসের তিনটি দেশের প্রত্যেকটির সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক রয়েছে ফ্রান্সের। বিশেষ করে আফ্রিকার সাহের অঞ্চল ও আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা এই তিনটি দেশের সঙ্গে কাজ করেছে।

লন্ডন কেন বাদ
অকাস চুক্তির প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরায় ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের প্যারিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু নতুন এই জোটে যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকা স্বত্বেও লন্ডনে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়নি।

এবিষয়ে ফরাসি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া ব্যাখ্যায় ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই জোটে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা খুব গৌণ বলে মনে করে ফ্রান্স।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্রান্স মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেন ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিশ্বে তার নতুন ভূমিকা নির্ধারণ করা চেষ্টা করছে এবং এজন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনও এখন এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া কী বলছে
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফরাসি সরকারের এই উদ্যোগে বাইডেন প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে সামনের দিনগুলোতে তারা ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা করবে।

ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি অস্ট্রেলিয়াও। তারা বলছে, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ দুঃখজনক।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন বলেছেন ফ্রান্সের হতাশ হওয়ার কারণ তারা বুঝতে পারছেন। তবে তারা আশা করছেন ফ্রান্সও “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করবে।”

উল্লেখ্য যে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়া।

নতুন এই জোট গঠনের ঘোষণা যে সময়ে দেওয়া হয়েছে সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণার ঠিক এক মাস পরেই অকাসের কথা ঘোষণা করা হলো।

---দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে যখন সন্দেহ তৈরি হচ্ছিল তখনই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার দুটো মিত্র দেশকে পাশে নিয়ে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হলো।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করছেন যে চীনকে টার্গেট করে অকাস জোট গঠন করা হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া
ফ্রান্সের এই অবস্থানের ফলে ই.ইউ জোটও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

প্রথমত, নতুন এই জোটের আলোচনায় শুধু ফ্রান্স নয় ইউরোপীয় ইউনিয়নও ছিল না। শুধু যে আলোচনায় ছিল না তা নয়, এই আলোচনার বিষয়েও তারা অজ্ঞাত ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান এবং শীর্ষস্থানীয় একজন কূটনীতিক জোসেপ বোরেলও অকাসের বিষয়ে কিছু জানতেন না।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এই আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ না করা এবং এবিষয়ে তাদেরকে কিছু অবহিত না করা দুঃখজনক এবং ফরাসি সরকারের জন্য এটা কতো হতাশাজনক সেটা তিনি বুঝতে পারেন।

ই.ইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান বলেছেন, ইউরোপের এখন সজাগ হওয়ার সময় এবং এবিষয়ে তাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো সামরিক শক্তি নয়, কিন্তু তারপরেও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়ান “ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা জোট” গঠনের আহবান জানিয়েছেন।

ব্রাসেলস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জেসিকা পার্কার বলছেন, “ইইউ যদি তার পেশী প্রদর্শনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়, তার পরেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কেন তারা সেটা করছে। এবং এই কাজ করাটাও তাদের জন্য সহজ হবে না।”

যুক্তরাষ্ট্রে দ্য জার্মান মার্শাল ফান্ড নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়ান লেসার বলেছেন, “ওয়ারশ, এথেন্স, প্যারিস অথবা বার্লিন- সবার দৃষ্টিতে তো কৌশল এক রকম হবে না।”

সুতরাং, সংক্ষেপে বলতে গেলে অকাস জোট গঠনের ঘোষণাটি ইইউর জন্য সময়োপযোগী নয়, এবং তারা যে এবিষয়ে অজ্ঞাত ছিল সেটা তাদের জন্য বিব্রতকর।

চীনের বক্তব্য
চীন অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। কিন্তু অকাস চুক্তির ফলে এই দুটো দেশের সম্পর্ক যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

চুক্তির তীব্র সমালোচনা করে চীন একে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাঁও লিজিয়ান বলেছেন, এই জোট আঞ্চলিক শান্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে জোরদার করছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া - এই তিনটি দেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। এবং অকাস চুক্তিকে “স্নায়ু যুদ্ধ মানসিকতা” উল্লেখ করে বলেছেন, তারা তাদের নিজেদের স্বার্থেরও ক্ষতি করছে।

চীনা গণমাধ্যমগুলোতেও একই মনোভাব ব্যক্ত করে সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর