বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম | স্বাস্থ্যকথা » বর্তমানে দেশে ১ কোটির বেশি করোনা টিকা মজুদ আছে : প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে ১ কোটির বেশি করোনা টিকা মজুদ আছে : প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন,প্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
বর্তমানে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এ প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
বুধবারের প্রশ্ন উত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রশ্ন উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোটসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোট টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।
মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ এবং বিনামূল্যে প্রদান কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্মা হতে পাওয়া সিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
টিকা সংগ্রহে বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রেখেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে কেবল ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিটিউ থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করি। অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে টিকা পাওয়ার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কেবল চীনের সিনোফার্মা ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নিই। এর মধ্যে সিনোফার্মার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমাঝোতা চুক্তিও হয়েছে।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এর প্রশ্নের উত্তর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সারা দেশকে ৭টি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা সম্পাদন হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্ণফুলি, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বেসিন ভিত্তিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। পানি প্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা ও যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করে কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস ও নদী ভাঙনকবলিত এলাকার ভাঙন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত অর্জন সম্ভব হবে।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত ৪ বছর ধরে দেশীয় গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
গত ঈদুল আজহার সময় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু সংখ্যা ছিলো প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০০টি। আর কোরবানিকৃত পশু ছিলো ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। অর্থাৎ কোরবানিযোগ্য প্রায় ২৮ লাখ পশু উদ্বৃদ্ধ ছিলো।বিগত ১২ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন ৫ গুণ ও ডিমের উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।