বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে ১৯ আগস্ট থেকে সব গণপরিবহন ও পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্র খোলা
বাংলাদেশে ১৯ আগস্ট থেকে সব গণপরিবহন ও পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্র খোলা
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে সব শর্ত তুলে নিয়েছে সরকার। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে সব ধরনের গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে।
ওই দিন থেকে আসন সংখ্যার অর্ধেক ফাঁকা রেখে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এসব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহল থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
‘সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
১৯ দিন পর গত ১১ আগস্ট থেকে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়েছে সরকার। ওইদিন থেকে আদালত ও সব ধরনের শিল্প কলকারখানাও চালু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব লঞ্চ চললেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মোট সংখ্যার অর্ধেক বাস ও ট্রেন চলছিল। আগামী ১৯ আগস্টে থেকে সব গণপরিবহন চলতে পারবে।
এছাড়াও শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলার রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়। ঈদের সময় আটদিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। এই সময়ে গণপরিবহন, অফিস এবং দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। তবে এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধি-নিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।