
রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি | শিরোনাম | সাবলিড » নিজের রকেটে করে মহাকাশ ঘুরে এলেন ব্রিটিশ ধনকুবের ব্র্যানসন
নিজের রকেটে করে মহাকাশ ঘুরে এলেন ব্রিটিশ ধনকুবের ব্র্যানসন
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সফলভাবে মহাকাশের প্রান্ত থেকে ঘুরে এলেন যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তা রিচার্ড ব্র্যানসন। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন তাঁর। টুইটারে সে কথা আগেই বলেছেন। তাঁর সে স্বপ্ন সফল হলো।
ক্ষণিকের জন্য মহাকাশের সীমা থেকে ঘুরে এলেন এই ব্রিটিশ ধনকুবের। তাঁর মহাকাশভ্রমণ প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের ‘ইউনিটি ২২’ নামের নভোযান প্রথমবারের মতো মানুষ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে আটটায় তাঁর এই যাত্রা শুরু হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো থেকে নিজের কোম্পানির রকেটে করে ব্র্যানসন মহাকাশযাত্রা করেন। ১৭ বছর ধরে এই রকেট তৈরি করেছে তাঁর কোম্পানি।
ভ্রমণ সম্পর্কে ব্র্যানসন বলেছেন, ‘জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতা।’
মহাকাশ ভ্রমণ শেষে নিরাপদে ক্রুসহ পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তিনি।
মহাকাশ পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রথম যাত্রা করল রিচার্ড ব্র্যানসনের প্রতিষ্ঠান। যাত্রা শুরু করে পৃথিবী থেকে ৮৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায় ব্র্যানসনের নভোযানটি। নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে ভার্জিন গ্যালাকটিকের অপারেশন ঘাঁটি স্পেসপোর্ট আমেরিকা থেকে এটি যাত্রা শুরু করে।
যাত্রাপথে ব্র্যানসনের সঙ্গে ছিলেন দুজন পাইলট ও তিনজন সহকর্মী। ভার্জিন গ্যালাকটিকের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টা লাগে। এর মধ্যেই যাত্রীরা কয়েক মিনিটের জন্য ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা পান। ভার্জিন গ্যালাকটিক তাদের রকেট একটি উড়োজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করে, যা ৮৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ব্র্যানসনের মহাকাশযাত্রা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর নভোযান যত দূর পৌঁছাবে, তাকে আকাশের সীমা বলা যাবে কি না, তা নিয়েই এ বিতর্ক। পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডল ও মহাকাশের কাল্পনিক সীমা ‘কারমান লাইন’ নামে পরিচিত।
এ সীমা কোথা থেকে শুরু, তা নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা ফেডারেশন অ্যারোনটিক ইন্টারন্যাশনালের মতে, কারমান লাইন শুরু পৃথিবীর ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে। তবে নাসা বলছে, এই সীমা শুরু ৮০ কিলোমিটার থেকেই। যেসব পাইলট, মিশন পরিচালক ও নাগরিক এই সীমা পার হবেন, তাঁরাই নভোচারী হিসেবে গণ্য হবেন।
গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন তাদের ভাড়ায় পর্যটক পরিবহনের অনুমতি দেয়। তবে এবারই প্রথম সব ক্রুকে নিয়ে নিউ মেক্সিকো থেকে মহাকাশযানে ব্র্যানসনের এই নভো-অভিযান।