বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে একদিনে রেকর্ড ৮ হাজার ৮২২ শনাক্ত, মৃত্যু ১১৫
বাংলাদেশে একদিনে রেকর্ড ৮ হাজার ৮২২ শনাক্ত, মৃত্যু ১১৫
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ করোনায় নতুন করে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৮২২ জন, যা দেশে মহামারিকালে একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে ২৮ জুন আট হাজার ৩৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া আট হাজার ৮২২ জন নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট শনাক্ত হলেন নয় লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ১১৫ জন। এদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় মারা গেলেন ১৪ হাজার ৫০৩ জন। বুধবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনকে নিয়ে আজ দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে মৃত্যু শতাধিক। ২৯ জুন মারা যান ১১২ জন। এর আগে গত ২৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুন মারা যান ১০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৫৫০ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন মোট আট লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ৩৭ হাজার ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ আট হাজার ৯২৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫২টি।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন আর নারী ৪৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন আর নারী চার হাজার ১৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চার জন।
বিভাগ অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের ২৩ জন করে, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের দুই জন, সিলেট বিভাগের তিন জন, রংপুর বিভাগের ১১ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের ছয় জন।
সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৯ জন, বাড়িতে ৯ জন।