অফিসগামী মানুষদের চরম ভোগান্তি
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় আফিসগামী মানুষের ভোগান্তির এ চিত্র দেখা যায়।
এদিন রাস্তায় যানবাহনের জন্য অফিসগামী যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা যায়। কিন্তু কোনো ধরনের গণপরিবহন না থাকায় তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তাই বাধ্য হয়েই অনেকে বেশি ভাড়ায় রিকশা, ভ্যান, রাইড শেয়ারিংয়ের বাইক বা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
মিনাহাজুল ইসলাম কাজ করেন একটি বেসরকারি সংস্থায়।
তিনি ধানমন্ডি ২৭ থেকে যাবেন তেজগাঁও এলাকা। তিনি বলেন, লকডাউন হোক, আর হরতাল সব থেকে বেশি কষ্ট আমাদের মত মধ্যবিত্তদের।
যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে, তাদের জন্য লকডাউন নেই। দেখেন রাস্তায় কি পরিমান প্রাইভেট কার চলছে। তাদের কোথাও যেতেও বাধা নাই। কিন্তু আমার মত যারা বাসে যাতায়াত করি, তারা কিভাবে অফিসে যাব, এটা কেউ ভাবেন না। ৪০ টাকার রিকশাভাড়া এখন দিতে হচ্ছে ৬০ টাকা।
কলাবাগান এলাকায় কাজ করা রফিক নামের আরও একজন বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করছে। আবার অফিস খোলা আছে। এটা কেমন লকডাউন। করোনায় আমাদের জীবনের ঝুঁকিও আছে, তারপরেও বাধ্য হয়েই অফিসে আসতে হয়। চাকরি গেলে করোনার মধ্যে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ে যাব। তাই আগারগাঁও থেকে ২০ টাকার বাস ভাড়া ১২০ টাকা দিয়ে রিকশায় আসতে হচ্ছে। কে দেখবে আমাদের এই দুর্দশা?
লালমাটিয়া এলাকায় বসবাস করা ইয়াফি জান্নাত ধানমন্ডির জিগাতলায় একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যসময় যেখানে বাসে ১০ টাকা দিয়ে যেতে পারি অফিসে। এখন সেই ১০ টাকার ভাড়া রিকশায় ৭০/ ৮০ টাকায় যেতে হচ্ছে। চাকরি করি তাই যেভাবেই হোক অফিসেতো যেতেই হবে।
মিনহাজ, রফিক কিংবা জান্নাতের মত বেশিরভাগ অফিসগামী মানুষের দুর্দশার চিত্র একইরকম। হেঁটে কিংবা বেশি ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তাদের দাবি অফিস খোলা রাখলে তাদের যেন যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়।