রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতের অরুণাচল সীমান্তে চীনের বুলেট ট্রেন চালু
ভারতের অরুণাচল সীমান্তে চীনের বুলেট ট্রেন চালু
বিবিসি২৪নিউজ, শিবলী চৌধুরী, চীন থেকেঃ ভারতের অরুণাচল সীমান্তের কাছ পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালু করেছে চীন। আশঙ্কায় ভারত।ফের চীন-ভারত সংঘাতের পরিস্থিতি। এবারের সংকট একটি রেললাইনকে ঘিরে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচলের সীমান্ত অঞ্চল পর্যন্ত রেললাইন পেতেছে চীন। গত সপ্তাহে সেখানে বুলেট ট্রেন চালাতে শুরু করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এর ফলে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত খুব সহজেই পৌঁছানো যাবে। সরকারিভাবে ভারত এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি না দিলেও, বিষয়টি নিয়ে যে খুশি নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্মকর্তা।
গতবছর জুন মাসে লাদাখে ভারত এবং চীন তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সেনার হাতাহাতিতে বেশ কিছু জওয়ান এবং অফিসারের মৃত্যু হয়। এরপর সংঘাতের বাতাবরণ বেশ অনেক মাস চলে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয় এবং শেষপর্যন্ত দুই দেশই উত্তেজনা প্রশমনের কিছু ব্যবস্থা করে। সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা কমেনি, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো।পত্রিকা লিখেছে, গত বছর নভেম্বর মাসে শি জিনপিং তিব্বতে নতুন বুলেট ট্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। তারপর দ্রুত গতিতে গোটা প্রকল্প শেষ করা হয়। এর ফলে লাসা থেকে নিংচি পর্যন্ত প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটারের রাস্তা সহজেই পৌঁছে যাবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এই বুলেট ট্রেন। তিব্বতে এই প্রথম বুলেট চালু করল চীন। এর আগে আর একটিই মাত্র রেল লাইন চালু ছিল সেখানে। যার সাহায্যে লাসা থেকে নিংচি পৌঁছাতে যা সময় লাগত, নতুন ট্রেনে তার চেয়ে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা কম সময় লাগবে।
তিব্বতের নিংচি অঞ্চল অরুণাচলের গায়ে। চীন বহুদিন ধরেই দাবি করে অরুণাচল তিব্বতের অংশ। অর্থাৎ, চীনের। ভারত বরাবরই এ দাবি নস্যাৎ করে দেয়। এই বিতর্ক নিয়ে ষাটের দশকে ভারত-চীন যুদ্ধও হয়েছে। চীন বহু সময়েই অরুণাচলের কাছে সৈন্য পাঠিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক অতীতে চীনের সেনা অরুণাচলে ধরাও পড়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বুলেট ট্রেন চালু হওয়ায় চীন অনেক সহজে অরুণাচল সীমান্তে পৌঁছতে পারবে। মনে রাখা দরকার, গত বছর ভারতের তৈরি একটি রাস্তা নিয়েই লাদাখে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। চীনের বক্তব্য ছিল, সীমান্তের অত কাছে ভারত ওই ধরনের রাস্তা তৈরি করতে পারে না। ভারতও চীনের রেলপথ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।