শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান মারা গেছেন
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান মারা গেছেন
৬৮৭ বার পঠিত
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান মারা গেছেন

---বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ খ্যাতিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান আর নেই। তিনি আজ শনিবার সকাল ৮টায় নিজ বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তাঁর মেয়ে কোয়েল আহমেদ। এ টি এম শামসুজ্জামান স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

বেশ কয়েক বছর ধরে নানান শারীরিক সমস্যায় ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল রাতেও বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেদিন তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সে রাতে তাঁকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ টি এম শামসুজ্জামানের অন্ত্রে প্যাঁচ লেগেছিল। সেখান থেকে আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা। এতে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছু শারীরিক জটিলতা হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আবারও এ টি এম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের তৃতীয় তলায় তাঁর চিকিৎসাসেবা চলে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এ অভিনেতাকে।

এক বছর ধরে শারীরিকভাবে ভালোই ছিলেন। কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। বাসায় চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ গত বুধবার বিকেলে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এবার শ্বাসকষ্ট দেখে চিকিৎসকেরা প্রথম দিকে ধারণা করেছিলেন, এ টি এম শামসুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত। পরে পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। ফলাফলে জানা যায় করোনা নেগেটিভ। এ ছাড়া দুই দিনের চিকিৎসায় তাঁর শারীরিক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। অবস্থা কিছুটা ভালো হলে গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু আজ হঠাৎই আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। এ টি এম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্রজীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।

ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মাননা অর্জন করেন।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর