সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার,শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় সাঁজোয়াযান, গুলি-ইন্টারনেট বন্ধ
বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার,শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় সাঁজোয়াযান, গুলি-ইন্টারনেট বন্ধ
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দশদিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভে গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্ষোভ প্রতিরোধে আরও বিস্তৃত আকারে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রধান প্রধান শহরগুলোর রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনার সাঁজোয়া যান।
শনিবার রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে আটক ও নাগরিকদের বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে।
রবিবার সন্ধ্যা নামার পরপরই বাণিজ্য নগরী ইয়াঙ্গুন, মিতকিনা এবং রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে সড়কে সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়।
এমন ঘটনাকে অভ্যুত্থান বিরোধীদের ধরপাকড়ে সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির আভাস বলে মনে করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর রয়টার্সের
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অন্যান্য ১১টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলো এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিক্ষোভকারী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
এসব দেশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা মিয়ানমারের জনগণকে তাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির সন্ধানে সমর্থন করি। বিশ্ব দেখছে’।
মিয়ানমারে থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পহেলা ফেব্রুয়ারিতে আকস্মিক এক অভ্যুত্থানে দেশটির জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনা বাহিনী। গত নভেম্বরের ভোটে জালিয়াতির অভিযোগে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ অধিকাংশ আইনপ্রণেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।