শিরোনাম:
●   জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ●   যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা ●   বাংলাদেশের দাবিতে ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই: পাকিস্তানের ভাষ্যে ●   চীনের শুল্ক নিয়ে আলোচনা বসতে নমনীয় ট্রাম্প ●   বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট ●   ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ●   পাকিস্তান ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় ●   বাংলাদেশের কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   ভারতের মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের ●   পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ
ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
BBC24 News
বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » চীনের ভেটোতে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আটকে গেল জাতিসংঘের উদ্যোগ
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » চীনের ভেটোতে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আটকে গেল জাতিসংঘের উদ্যোগ
১৪৪৮ বার পঠিত
বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চীনের ভেটোতে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আটকে গেল জাতিসংঘের উদ্যোগ

---বিবিসি২৪নিউজ, খান শওকত নিউইয়র্ক থেকেঃ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ চীন ভেটো দেওয়ায় মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতে পারেনি । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে। তবে চীন সমর্থন না দেওয়ায় তারা যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়।

যৌথ বিবৃতি দিতে চীনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীনের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

বৈঠকের আগে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার সেনা অভ্যুত্থানের কড়া নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এটা খুব স্পষ্ট যে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের মিয়ানমার–বিষয়ক বিশ্লেষক এলিয়ট প্রাসফ্রিম্যান  বলেন, চীন কৌশলগতভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে। চীন মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে অভিহিত করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে ‘মন্ত্রিসভায় রদবদল’ বলেছে। এলিয়ট প্রাসফ্রিম্যান মনে করেন, জাতিসংঘের বিবৃতিতেও মিয়ানমারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে। দেশটির বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১১ জনমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে বদলানো হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন ও পুলিশপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি ছিল শান্ত। প্রধান শহরগুলোয় সেনাবাহিনীর টহল চলেছে। তবে গতকাল রাতে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা গাড়ির হর্ন ও থালাবাসন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান। মিয়ানমারের তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। ফেসবুক পেজে তাঁদের এই কর্মসূচিতে এক লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে ৭০টি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা কাজ বন্ধ করেছেন। নীরব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেক চিকিৎসাকর্মী কালো রিবন ব্যবহার করছেন।

গত সোমবার ভোরে আটকের পর থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি কোথায় আছেন, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এনএলডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমারে রাজনীতিকদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আগে থেকেই। সু চি তাই অভ্যুত্থানের আগেই চিঠি লিখে রেখেছেন। আটকের আগে সু চির লেখা একটি চিঠি তাঁর দলের চেয়ারপারসন ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাতে অভ্যুত্থান মেনে না নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের বাস। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনাশাসন চলেছে মিয়ানমারে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ছিল দেশটি।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বছরের পর বছর গণতন্ত্রের সংস্কারের জন্য প্রচার চালিয়েছেন। ২০১৫ সালে নির্বাচনের পর সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে এর দুই বছর পর সেনা অভিযানে নির্যাতিত হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ সময় নীরব ভূমিকা পালন করেন সু চি। এ রকম ভূমিকার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সু চি সমালোচিত হন।

মিয়ানমারে সু চি জনপ্রিয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচিত নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসেন সু চি। এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী। সোমবার মিয়ানমারে সু চির সরকারের পার্লামেন্টের অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী।



আর্কাইভ

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা
বাংলাদেশের দাবিতে ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই: পাকিস্তানের ভাষ্যে
বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট
ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে পদক্ষেপ নিল ভারত
বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না: ইসরাইল