শিরোনাম:
●   বাংলাদেশের দাবিতে ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই: পাকিস্তানের ভাষ্যে ●   চীনের শুল্ক নিয়ে আলোচনা বসতে নমনীয় ট্রাম্প ●   বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট ●   ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ●   পাকিস্তান ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় ●   বাংলাদেশের কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   ভারতের মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের ●   পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ ●   বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
BBC24 News
সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েঃ ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস!
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েঃ ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস!
৯৪৫ বার পঠিত
সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েঃ ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস!

---বিবিসি২৪নিউজ, ফরিদা ইয়াসমিন ওয়াশিংটন থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রের  নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য রাজ্যস্তরের এক কর্মকর্তাকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য প্রয়োজনীয় ভোট সংগ্রহে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেটকে টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ জানুয়ারি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে ফোন করেন। তাঁদের দীর্ঘ ফোনালাপের অডিও দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল রোববার প্রথম প্রকাশ করলেযুক্তরাষ্ট্রজুড়ে  তোলপাড় শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর জন্য আর কত নিচে নামবেন, আর কত–কী করবেন, এ নিয়ে মার্কিন মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠেছে। তাঁকে বন্ধ করার জন্যও কেউ এগিয়ে আসছে না।

ফোনালাপের সূত্র ধরে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেক্রেটারি অব স্টেটকে ১১ হাজারের বেশি ভোট কোনোভাবে খুঁজে বের করার জন্য বারবার বলছেন বলে ফোনালাপে শোনা যায়।

জর্জিয়ার জনগণ ক্ষুব্ধ, আমেরিকার লোকজনও ক্ষুব্ধ বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন। আবার গণনা করা করে ‘ভোট পাওয়া গেছে’ বলার মধ্যে কোনো ‘ভুল নেই’ বলে ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে টেলিফোনে বলছিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলছিলেন, ‘আমি এই একটা জিনিসই চাইছি—কোনোভাবে ১১ হাজার ৭৮০ ভোট খুঁজে বের করা।’ ট্রাম্পের এই চাওয়ার কারণ, তাহলে জো বাইডেনের চেয়ে এক ভোট বেশি হয়ে যাবে এবং জর্জিয়ার নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন, তা প্রমাণিত হবে। এমনিতেই নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্পের কথার পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে বলতে শোনা যায়, তিনি (ট্রাম্প) ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কথা বলছেন। রাজ্যের ভোট ঠিকই একাধিকবার গণনা করা হয়েছে। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় নতুন ভোট খোঁজে পাওয়ার কাজ যে তিনি করবেন না, এমন কথা বিনয়ের সঙ্গে বলেন ব্র্যাড রাফেনসপারজার।

রিপাবলিকান পার্টির লোকজন ব্র্যাড রাফেনসপারজারের ওপর অসন্তুষ্ট বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন ফোনালাপে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এমন ব্যবহার রিপাবলিকানরা নাকি মেনে নিতে পারছেন না। ৫ জানুয়ারি জর্জিয়ায় দুই সিনেট নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন। এখন যদি তাঁর কথামতো সব ঠিক করে নেওয়া হয়, রিপাবলিকান পার্টির নেতারা সেক্রেটারি অব স্টেটকে ‘খুবই শ্রদ্ধা’ করবেন বলে ট্রাম্প বলতে থাকেন।

বেপরোয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজয় মানেননি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো জাতীয় নির্বাচনের পর যেমন সব কাণ্ড ঘটেনি, তা–ই ঘটিয়েছে তিনি। একের পর এক মামলা করেছেন। অর্ধশতাধিক মামলার একটাও কেউ আমলে নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টও ট্রাম্পের নির্বাচনে কারচুপির ভুয়া দাবি শুনানিতেই রাজি হননি। এখন ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইলেক্টোরাল ভোট গণনা নিয়ে আপত্তি ওঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। নিজের সমর্থক আইনপ্রণেতাদের চাপ দিচ্ছেন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ফোনালাপের অডিও এমন একটি প্রমাণ, যার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে অধস্তন রাজ্য কর্মচারীদের ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এর আগে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকে এমন চাপ দিয়েছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রথমে ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁর প্রশংসায় নানা কথা বলেন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার জন্য বলেন। এতেও কাজ না হলে অপরাধের ভুয়া অভিযোগে ফাঁসানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে ট্রাম্প বলে বসেন, ব্র্যাড রাফেনসপারজার খুব বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন।

রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর এবং সেক্রেটারি অব স্টেট—দুজনই রিপাবলিকান। তাঁরা প্রেসিডেন্টের সরাসরি চাপ সত্ত্বেও নিজেদের নৈতিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি। একই কাজ করেছেন পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনাসহ বেশ কিছু রাজ্যের কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাপ, হুমকি ও প্রলোভনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যপর্যায়ের এসব কর্মকর্তা।

গতকাল ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এক টুইটবার্তা দেওয়া হয়। সেখানে ব্র্যাড রাফেনসপারজারর সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানান ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের ভাষ্য, ব্র্যাড রাফেনসপারজার নির্বাচনসংক্রান্ত জালিয়াতি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ব্যালট পেপার নষ্ট করা, মৃত ভোটারদের ভোটার হিসেবে দেখানোর বিষয়টি আলোচনা করা হয়। কিন্তু তাঁর (ব্র্যাড রাফেনসপারজার) এসব নিয়ে কোনো ধারণা নেই।

তবে ব্র্যাড রাফেনসপারজার ফিরতি টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে হচ্ছে মি, প্রেসিডেন্ট, আপনি যা বলছেন, তা ঠিক নয়। সত্য বেরিয়ে আসবে।’

পুরো ফোনালাপে ট্রাম্পকেই বেশি কথা বলতে শোনা যায়। তিনি ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে ‘শিশু’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রাড, আমাকে বলুন, কী করতে যাচ্ছেন? আমরা নির্বাচনে জিতেছি। এভাবে আমাদের কাছে থেকে ফল অন্যরা নিয়ে যাবে, তা ঠিক না। এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। আমার মনে হয়, আপনার বলা উচিত যে আপনি ভোট আবার গুনবেন।’

ফোনালাপের বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করে সিএননসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম। এ–সংক্রান্ত কোনো ই–মেইলের কোনো জবাব দেওয়া হয়নি হোয়াইট হাউস থেকে।

ফোনালাপে ভোটের ফল পাল্টে দিতে এভাবে চাপ দেওয়ার বিষয়কে অনৈতিক শুধু নয়, আইনবিরুদ্ধ বলে মনে করেন মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক রিচার্ড এইচ পিলডেজ বলেন, প্রেসিডেন্ট হয় জেনেশুনেই রাজ্য কর্মকর্তাদের অনিয়ম করতে উৎসাহিত করছিলেন অথবা কী বলছেন, তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত ছিলেন।

এদিকে টেড ক্রুজসহ ১১ জন প্রভাবশালী সিনেটর অন্য আইনপ্রণেতাদের নিয়ে ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ঝামেলা পাকানোর সব প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। সিনেটর ক্রুজসহ অন্যরা দাবি জানাচ্ছেন, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে কি না, তা একটি কমিশন গঠন করে তদন্ত করা হোক। সে পর্যন্ত ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফল স্থগিত থাকবে। ভোটে অনিয়ম পাওয়া গেলে রাজ্য আইনপ্রণেতাদের ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

সিনেটে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা চার্লস শুমার গতকাল বিকেলে বলেছেন, সিনেটর টেড ক্রুজ এখন ভোট কারচুপি নিয়ে তদন্ত করতে ইচ্ছুক। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি লিংক সংযুক্ত করে টুইটবার্তায় চাক শুমার বলেছেন, সিনেটর টেড ক্রুজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে কাজটির সূচনা করতে পারেন।



আর্কাইভ

বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট
ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে পদক্ষেপ নিল ভারত
বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না: ইসরাইল
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীন নির্বাচন করা সম্ভব নয়: নাহিদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ