বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আগামী বছরটি ভালো হবে-বিল গেটসের পর্যালোচনা
আগামী বছরটি ভালো হবে-বিল গেটসের পর্যালোচনা
বিবিসি২৪নিউজ,অনলাইন ডেস্কঃ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীও তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে যত দাতব্য কাজ করছে, তার অন্যতম লক্ষ্য মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। করোনা মহামারি, এর টিকা উদ্ভাবন ও বিতরণ ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি করোনা–পরবর্তী বিশ্ব নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিল গেটস। গত মঙ্গলবার লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিজের ব্লগ গেটস নোটসে।
এটি একটি বিধ্বংসী বছর। কোভিড–১৯ মহামারিতে ১৬ লাখের বেশি মানুষ এরই মধ্যে মারা গেছেন। সেই সঙ্গে সাড়ে ৭ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং অর্থনৈতিক খাতে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ১০০ কোটির বেশি শিশু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্কুলে যেতে পারেনি। এ বছর যুক্তরাষ্ট্র জর্জ ফ্লয়েড ও ব্রেওনা টেলরের হত্যা দেখেছে, দেখেছে বিধ্বংসী দাবানল এবং এমন একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, যা আধুনিক সময়ে আর দেখা যায়নি।
তবে ২০২১ সালে আমাদের জন্য ভালো খবর আছে।
চলতি বছরের বেশির ভাগ সময়টা আমি ফাউন্ডেশনের সহকর্মীদের সঙ্গে কাটিয়েছি এবং এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে কোভিড–১৯ প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং এর শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালানোর পথ খোঁজা। ২০২০ সালের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রার গতি নিয়ে আমি যখন ভাবি, তখন স্তম্ভিত হয়ে যাই। এ বছর কোভিড–১৯–এর কারণে বিশ্বে যে পরিমাণ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হয়েছে, অন্য কোনো রোগের ক্ষেত্রে এক বছরে মানুষ এতটা এগোতে পারেনি। সাধারণ সময়ে, একটি টিকা তৈরি করতে ১০ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এবার এক বছরের কম সময়ে একাধিক টিকা তৈরি করা হয়ে গেছে।
দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারিনি। কম্পিউটারে তৈরি মডেলে দেখা গেছে, সামনের মাসগুলোতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) আবির্ভূত হয়েছে এবং সে বিষয়েও আমাদের জানতে হবে। করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে, যদিও এটি ততটা প্রাণঘাতী নয় বলে মনে হচ্ছে।
টিকা তৈরিতে সাধারণত প্রায় ১০ বছর লাগলেও এবার এক বছরেই একাধিক টিকা পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
তবু আশাবাদী হওয়ার জন্য দুটি কারণ হাজির আছে। একটি হলো মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার গতি কমিয়ে দেওয়া এবং এর মাধ্যমে টিকা সর্বত্র পৌঁছানোর আগপর্যন্ত জীবন বাঁচানো।
আশাবাদী হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, ২০২১ সালের বসন্তে করোনার টিকা ও চিকিৎসা –ম্পর্কিত যেসব খবর আপনারা এখন সংবাদমাধ্যমে পড়ছেন, সেগুলো এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে এর বৈশ্বিক প্রভাব জোরদার হতে থাকবে। যদিও তখনো কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার প্রয়োজন হবে (উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বড় জনসমাগমের কথা), তবে অন্তত ধনী দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে আসতে থাকবে এবং এখনকার তুলনায় জীবন অনেক স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এই পোস্টে আমি কোভিড–১৯ বিষয়ক সব ধরনের উদ্ভাবনগুলো সম্পর্কে নানা বিষয় ভাগাভাগি করতে চাই। কারণ, আমরা এ বছর শেষ করে নতুনটির দিকে এগোচ্ছি। আমি টিকা দিয়েই শুরু করছি; কারণ, টিকার বিষয়টি খবরে আসছে বারবার এবং এই বিষয়েই আমি বেশি প্রশ্ন পেয়েছি।
উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টিকা বিতরণে সমতা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।