বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বিমান বন্ধ হচ্ছে না, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরলে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে
বিমান বন্ধ হচ্ছে না, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরলে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ যুক্তরাজ্য থেকে কোন বিমানযাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া বাংলাদেশে এলে তাকে সাতদিনের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা লাইন করে, যাদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে না, তাদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
এরপর সেখান থেকেই তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে ঢাকার আশকোনার হজক্যাম্পে।কিন্তু যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল এখুনি বন্ধ করছে না সরকার।
ব্রিটেনে একটি নতুন ধরণের এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ইতিমধ্যে ৪০টির মত দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করেছে দেশটির সঙ্গে।
এক অনুষ্ঠানে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাজ্য থেকে আসা সকল যাত্রীর জন্য আলাদা লাইন করা হবে এয়ারপোর্টে। যাদের কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে না, তাদের সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।”স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এই পরীক্ষার পর তাদেরকে আশকোনার হজক্যাম্পে বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি জানিয়েছে, গত সাতদিনে যুক্তরাজ্য থেকে আসা ১৫৬ জন যাত্রীকে ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের একটি বড় অংশ কোভিড সার্টিফিকেট ছাড়াই আসেন এবং এর কারণ যে পরীক্ষার জন্য সেখানে ২৫০ পাউন্ড খরচ করতে হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন যে যারা কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন, তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে এখনও সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে বলেন যে পরিস্থিতি বুঝে সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশে মার্চে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫০১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মারা গেছেন মোট ৭ হাজার ৩২৯ জন।