শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ওসি প্রদীপের পরিকল্পনা মেজর সিনহা খুন হন
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ওসি প্রদীপের পরিকল্পনা মেজর সিনহা খুন হন
৮১৪ বার পঠিত
রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ওসি প্রদীপের পরিকল্পনা মেজর সিনহা খুন হন

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খুন হন। টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভয়াশ্রম তিনি গড়ে তুলেছিলেন। এ সম্পর্কে জেনে ফেলার কারণেই তাঁকে খুন করা হয়।
আজ রোববার কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ কথা বলেন। এর আগে সকালে কক্সবাজারের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করেন র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। দুপুরে অভিযোগপত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানায় র‍্যাব।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ফাঁড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ ও রামু থানায় তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় সিনহা মো. রাশেদ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ওই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে র‍্যাব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। আজ যে মামলাটির অভিযোগপত্র র‍্যাব দাখিল করল, সেটি কক্সবাজার আদালতে করেন সিনহা মো. রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়ার।

আশিক বিল্লাহ জানান, র‍্যাব নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর কাজ শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪ মাস ১০ দিন। এতে আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে। তাঁদের মধ্যে টেকনাফ থানার বরখাস্ত পুলিশ সদস্য ৯ জন, এপিবিএনের ৩ জন ও বেসামরিক সদস্য ছিলেন ৩ জন। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের ১৪ জন কারাগারে আছেন। একজন এখনো পলাতক। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের ১২ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেননি বরখাস্ত কর্মকর্তা প্রদীপ দাশ ও রুবেল শর্মা। তদন্ত কর্মকর্তরা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এর বাইরেও বিভিন্ন ধরনের আলামত ও ডিজিটাল কনটেন্ট পর্যালোচনা করেছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা কবের এবং কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনাটি মধ্য জুলাইয়ের। সিনহা মো. রাশেদ বন্ধুবৎসল ছিলেন। টেকনাফে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল চালুর অংশ হিসেবে গিয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁর সঙ্গে এলাকাবাসীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি টেকনাফের মানুষের ওপর প্রদীপ কুমার দাশের নির্যাতন–নিপীড়নের কথা জানতে পারেন। ইয়াবা বড়ি কেনাবেচায় সম্পৃক্ততারও প্রমাণ পান। এমন কিছু তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন, যেগুলো প্রকাশ পেলে প্রদীপ কুমার দাশ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যেতে পারতেন। এসবের ভিত্তিতে তিনি টেকনাফ থানায় প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎকার নিতে যান। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার কথা বলেন এবং সরাসরি হুমকি দেন। কিন্তু সিনহা তাঁর কাজ চালিয়ে চান। পরে প্রদীপ থানাতেই উপপরিদর্শক লিয়াকত ও তিন তথ্যদাতার সঙ্গে বৈঠক করেন। হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেও প্রদীপই নির্দেশ দেন।

র‍্যাব বলছে, গত ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিনহা মো. রাশেদ খান গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে নেন দায়সারাভাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামি পুরো হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করেন।
সিনহা মো. রাশেদ খানের ডিজিটাল ডিভাইসে ঠিক কী কী তথ্য ছিল? তদন্ত কর্মকর্তা এগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, এগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়েনি। সিনহা মো. রাশেদ তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে যে থানায় গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ আছে কি না, সে সম্পর্কে আশিক বিল্লাহ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে টেকনাফ থানার কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনা ঘটার পরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া ছিল অপেশাদারী আয়োজন। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
টেকনাফে কী তাহলে পুলিশ এভাবেই সাজানো বন্দুকযুদ্ধ ঘটিয়েছেন, এমন প্রশ্নে আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রতিটি ঘটনাই আলাদা। তাঁরা নির্দিষ্ট একটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছেন। এর আগে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক র‍্যাবের গুলিতে নিহত হন বলে জানান তাঁর স্ত্রী। এ সম্পর্কিত তথ্য–প্রমাণ তিনি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করেন। ওই মামলার তদন্ত র‍্যাব করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ একই জবাব দেন। তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনটি সিনহা হত্যা নিয়ে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর