শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঢাজা “মাইন্ড এইড” হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঢাজা “মাইন্ড এইড” হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০
৮৩০ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঢাজা “মাইন্ড এইড” হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  ঢাকার আদাবরে মাইন্ড এইড মানসিক হাসপাতালে একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ ও নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট বদ্ধ কামরায় বেশ কয়েকজন মানুষ একজন ব্যক্তিকে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে চেপে ধরে মারধর করছে।

পুলিশ বলছে, বলছে, সিসিটিভি ভিডিওতেই পুরো ঘটনাপ্রবাহ স্পষ্ট হয়েছে তাদের কাছে।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আনিসুল করিম। তিনি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি ৩১তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন।

তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ঢাকায় পুলিশের একজন উপ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ভিডিওতে থাকা সবাইকে গ্রেপ্তার করেছেন।

মাইন্ড এইড নামের হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। হাসপাতালটিতে কয়েকজন রোগী রয়েছে। এরা হাসপাতাল ছাড়লেই শুরু হবে বন্ধের প্রক্রিয়া।

হাসপাতালটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং মানসিক চিকিৎসার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যেসব লাইসেন্স দরকার হয় তার কোনটিই নেই বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মি. রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যায় যে, এতোগুলো মানুষ মিলে কিভাবে একজনকে মারধর করছে।

পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে যারা আনিসুল করিমকে টেনে হিঁচড়ে ওই কামরাটিতে নিয়ে যায় তারা কেউই চিকিৎসক ছিলেন না। এদের মধ্যে চার জন ওয়ার্ড বয়,দুজন সমন্বয়কারী, আর কয়েকজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিল। এরা সবাই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বলছে, মামলাটি তারাই তদন্ত করবে।

উপ কমিশনার মি. রশিদ বলেন, এ ঘটনায় কোন দালাল বা অন্য কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।

এমনকি সরকারি হাসপাতালের কোন চিকিৎসক জড়িত কিনা সে বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।

যা ঘটেছিল
সোমবার রাজধানী আদাবর এলাকার মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুল করিম। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীদের মারধরে নিহত হন তিনি।

সোমবার সকালে আনিসুল হককে মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যান তার ভাই রেজাউল করিম।

সেসময় সাথে তার ভগ্নীপতি ও বোনও ছিল বলে জানান তাদের পারিবারিক এক বন্ধু।

ভর্তি করানোর কিছুক্ষণ পরেই তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরে তাকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৭ জন লোক এক ব্যক্তিকে জোর করে টেনে একটি কক্ষে নিয়ে যাচ্ছেন।

সেখানে সবাই মিলে তাকে উপুড় করে ফেলে চেপে ধরে রেখেছে। দুই জন ব্যক্তিকে দেখা যায় যে তারা মি. করিমকে আঘাত করছে।

বাকিরা তাকে চেপে ধরে রাখে। সেসময় তার হাত পেছনের দিকে মুড়িয়ে একটি নীল রঙের কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়।

পরে মি. করিমকে সোজা করে শুইয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাকে নড়াচড়া করতে দেখা যায়নি। এ পর্যায়ে দুই কর্মীকে দেখা যায় তারা মি. করিমের মুখে পানি ছেটাচ্ছেন। কিন্তু এতেও সাড়া দেননি তিনি।

এর কয়েক মিনিট পরে সাদা রঙের অ্যাপ্রোন পরা এক নারী কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তিনি মি. করিমকে মাথায় হাত দিয়ে পরীক্ষা করেন। এর কিছু পরে তার হাতের বাঁধন খুলে দেয়া হয়।

অ্যাপ্রোন পরা আরেক নারী তার রক্তচাপও মেপে দেখেন। প্রথমে আসা নারীকে মি. করিমের বুকে চেপে সিপিআর দিতে দেখা যায়। কিন্তু তাতেও সাড়া দেননি তিনি।

---ভিডিওটির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশের সবগুলো গণমাধ্যমই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি ওই ঘটনার উল্লেখ করে প্রচার করছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, নিজেকে এবং অন্যকে যাতে আঘাত করতে না পারেন তার জন্য ওই কক্ষে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দেয়ার সময় অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।

তবে পুলিশ ভিডিওর বরাত দিয়ে বলছে, এটা স্পষ্টই হত্যাকাণ্ড।

গাজীপুরে দাফন
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে তার নিজের জেলা গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ময়না তদন্তের পর গত রাত ১১টার দিকে মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জানাজার পর সাড়ে নয়টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর