শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান-রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান-রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে
১২৭৩ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান-রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে ইরানের ওপর আরোপিত পাঁচ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর।

আমেরিকা ওই নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করার জন্য তাদের পক্ষে সম্ভব সকল প্রচেষ্টাই চালিয়েছে। তাদের সকল প্রচেষ্টাই যথারীতি ব্যর্থ হবার পথে রয়েছে। রাশিয়া ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। রাশিয়া একদিকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং পরমাণু সমঝোতার ৫+১ এক গ্রুপের অন্যতম সদস্য।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গতকাল বলেছেন ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর মস্কো তেহরানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। জাখারোভা বলেন, ইরানের উপর চাপানো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের বিষয়টি সম্পর্কিত নয়। তবুও তেহরান স্বেচ্ছায় বাড়তি কিছু প্রটোকল মেনে নিয়েছিল। তাঁর মতে, পরমাণু বিষয়ক আলোচনা দ্রুত নিষ্পন্ন করা এবং একটা সমাধানে পৌঁছার জন্যই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এটা পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তেহরানের সদিচ্ছার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলে।

ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর রাশিয়া তাদের যে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করলো তা থেকে মস্কোর মৌলিক অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়। আমেরিকা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে ইরানের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক এবং বে-আইনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে গত দেড় বছরে। তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে ইরানের ওপর যেন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করা হয়। কিন্তু রাশিয়া আমেরিকার সেসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলো। আমেরিকার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এমনকি ট্রাম্প এবং পম্পেও পর্যন্ত বারবার ভিত্তিহীন কিছু দাবি তুলে মূলত ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়েছে গত ২০১৯ সাল থেকে।

তারা বলেছে ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা দেখা দেবে। আর ইরান এবং তাদের মিত্ররা যদি শক্তিশালী হয়ে ওঠে তাহলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এইসব ভিত্তিহীন যুক্তি দেখিয়ে তারা নিরাপত্তা পরিষদে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের লক্ষ্যে একটি খসড়া পেশ করেছে। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১৩ সদস্যই খসড়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। অগত্যা তারা অদ্ভুত এক দাবি জানায়। তারা বলে যে আমেরিকা নাকি এখনও পরমাণু সমঝোতার সদস্য।

তারা আরও বলে ইরান নাকি সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে এবং সে কারণে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর হবে। তারা ২০ সেপ্টেম্বর সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববাসীর বিরোধিতার কারণে আমেরিকার ওই পদক্ষেপও ভেস্তে গেছে। সবশেষে তারা স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের কথা বলেছে। তাও কাজে আসে নি। আসলে ট্রাম্পের অবিবেচনামুলক পদক্ষেপ আমেরিকার জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমনটি মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে বলেছেন: ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি অন্য যে-কোনো সময়ের তুলনায় আমেরিকাকে কোনঠাসা করে রেখেছে।#



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর